দূর্বাঘাসের মাথায় শিশির বিন্দু ও সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। পৌষ-মাঘ দুই মাস শীতকাল হলেও আমাদের দেশে শীত শুরু হয় কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে। সে অনুযায়ী প্রকৃতির নিয়মে ঠাকুরগাঁও জেলায় শুরু হয়েছে শীতের আমেজ।
সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও। হিমালয়ের কাছাকাছি এই জেলার অবস্থান। তাই দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এই জেলায় শীতের প্রকোপ একটু বেশিই দেখা যায়।
গত কয়েকদিন দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই শুরু হয় কুয়াশা পড়া। রাতে ও ভোরের হালকা কুয়াশা সেই সাথে দুর্বা ঘাসের মাথায় শিশির বিন্দু জানিয়ে দিচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছে শীত। সারদিনের গরম শেষে সন্ধ্যা থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া সঙ্গে নামছে কুয়াশাও।
সারেজমিনে দেখা যায়, সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক। দূর থেকে দেখলে মনে হয় প্রতিটি ঘাসের মাথায় যেন মুক্তোর মতো শিশির কণা জমে আছে। আর শীতের এই আবহাওয়া অনুভব করতে সড়কে হাটা চলা করছেন অনেকেই। কুয়াশায় চাদরে ঢেকে আছে রাস্তা-ঘাট। সড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে হেডলাইট জ্বালিয়ে। এসবই জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে এসেছে শীত।
শীত মানে অনেকের কাছে আনন্দের। আর কারও কাছে যন্ত্রণার। তবে বেশিরভাগ মানুষ শীত মৌসুমকেই পছন্দের সময় হিসেবে গণ্য করেন। তবে শীত মানে ভাপা পিঠার মধুর গন্ধ। শীত মানে সকালে মিষ্টি খেজুর রসের সঙ্গে মিতালী। শীতের সময় যতসব রুচিশীল খাবারের আয়োজন চলে গ্রাম কিংবা শহরে।
শহরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় পথচারী নুর ইসলাম এর সাথে। তিনি জানান, সারাদিন গরম থাকে কিন্তু রাতে ও ভোরে এই শীতের কারনে আবহাওয়া টা অনেক সুন্দর থাকে। আমাদের জেলায় শীত একটু বেশি।
সকালে বড় মাঠে হাটতে আসা রহিম উদ্দিন বলেন, শীতের সকালে হাঁটতে ভালোই লাগে। তাই সকালে মাঠে ঘাশের উপর হাটছি। এবারে শীতে যাতে কেউ কষ্ট না পায় সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো যাতে যারা গরীব অসহায় আছে তাদের পাশে থাকার জন্য।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, হিমালয়ের কাছাকাছি জেলা আমাদের ঠাকুরগাঁও। সেই কারনেই এখানে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। গতবারের শীতে আমরা সকলের পাশে থেকেছি। এই শীতেও অসহায়, দরিদ্র মানুষের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নিবো।