মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার শহরতলীর হিলালপুর গ্রামে সালিশ বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পারভেজ আহমদ (৪৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁর পরিবারের চার সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শহরতলীর হিলালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পারভেজ মিয়া (৪৮) হিলালপুর এলাকার বাসিন্দা। আহত ব্যক্তিরা হলেন পারভেজের মা কটই বিবি, স্ত্রী শেলি বেগম, ভাই পীর আজাদ ও ভাতিজা আছাদ মিয়া। তাঁদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিলালপুর গ্রামের একটি বাড়িতে একটি সালিস বৈঠক বসে। পারভেজ মিয়া ও প্রতিবেশী সামাদ মিয়ার মধ্যে এ বিরোধ ছিল। সালিসের একপর্যায়ে সামাদের লোকজন পারভেজ মিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করেন। এতে পারভেজসহ পাঁচজন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত আটটার সময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে পৌঁছালে পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে পারভেজ মিয়ার স্ত্রী শেলি বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর আজাদ মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন বলেন, মেয়েলি বিষয় নিয়ে একটি সালিস বৈঠকে মারামারি হয়েছিল। এতে একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল যায়। হামলার সঙ্গে জড়িত আজাদ মিয়াকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।