নেশা জাতীয় দ্রব্য ড্যান্ডিতে আসক্ত হচ্ছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পথশিশুরা। অসাধু বিক্রেতারা অধিক মুনাফার লোভে পথশিশুদের কাছে এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া নেশার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে শিশুরা চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, মাদকের তালিকায় এ নেশার নাম না থাকায় সঠিকভাবে অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে খবর পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ড্যান্ডি’ নামক এই নেশা জাতীয় দ্রব্যটি রাবার, চামড়াজাত দ্রব্য বা জুতা ও ফার্নিচার তৈরিতে ব্যবহৃত এক ধরনের আঠা ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ বা ড্যান্ড্রাইট (গাম) । উপজেলার বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের দোকানে সলিউশন নামে এসব আঠা জাতীয় দ্রব্য ৪০ বা ৮০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়। গ্রামের ছোট ছোট দোকান গুলো সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যেই নেশা করছে পথশিশুরা।
নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক পথশিশু জানায়, যেখানে লোকজন কম সেখানে বসে ড্যান্ডি খাইতাম, এখন মাঝে মধ্যে খাই। ড্যান্ডি খাইলে মাথা ঘুরে, ক্ষুধা লাগে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুত্রে জানা যায়, এ নেশার ফলে এসব শিশু নানা রোগে আক্রান্তসহ দ্রুত কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। তাদের এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনসহ সবাইকে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন না থাকায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তবুও এমন ঘটনায় পুলিশ বসে নেই, এমন দেখলেই শিশুদের উদ্ধার করে তাদের মা-বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।