ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নাটোরে গণধর্ষণের ঘটনার সাড়ে ৪ ঘন্টার মধ্যে তিন ধর্ষক ও দুই সহযোগী আটক

নাটোর প্রতিনিধি - | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৫৮:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকায় এস এসসি পরিক্ষার্থীকে গণ ধর্ষণের ঘটনার সাড়ে চার ঘন্টার মধ্যে  তিন ধর্ষক এবং দুই সহযোগীকে আটক করেছে নাটোর থানা পুলিশ। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসামাত্রই সাড়ে চার ঘন্টার সাড়াশি অভিযানে তিন ধর্ষককে আটক করতে  সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
ধৃতরা হচ্ছেন ধর্ষক শহরের কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে রনি মিয়া, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রকি এবং আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া এ ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগীতার অভিযোগে মৃদুল হোসেন এবং তার স্ত্রী মিথিলা পারভীন কে আটক করা হয়েছে।
চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে, শহরের হাফরাস্তা এলাকার সাগর মিয়ার ভাড়া বাসায়। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে আবির (২১) নামের এক দোকান কর্মচারী তার এস এসসি পরিক্ষার্থী প্রেমিকাকে নিয়ে নাটোর আসেন। পরে স্থানীয় এক বন্ধু বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় মৃদুল ও মিথিলা দম্পতির বাসায় নিয়ে যান। এই দম্পতি ধর্ষক রনি, রকি ও সোহানকে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তারা দলবদ্ধভাবে ঐ ছাত্রীকে গলায় চাকু ধরে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে তাদের টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে বলে ভয় দেখায়। পরবর্তীতে তারা ছাড়া পেয়ে রাত আনুমানিক ১১ টার নাটোর থানায় গিয়ে অভিযোগ করে।
ঘটনার খবরে সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হন নাটোর থানা পুলিশ৷ বুধবার ভোররাতে সদর উপজেলার তেলকুপি নুরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করে। মঙ্গলবার রাতেই মিথিলা ও মৃদুল কে শহরের হাফরাস্তা থেকে আটক করা হয়। জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নাটোর সদর থানার এস আই জামাল উদ্দীন জানান, আমরা ধর্ষিতার অভিযোগ পাওয়ার পর পরই অভিযানে নামি। ঘটনার পর পরই শহরের হাফরাস্তা থেকে দুই সহযোগী এবং তেলকুপি নূরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করা হয়।