প্রতিটি তরকারিতে হলুদ না দিলে যেনো স্বাদে অপূর্ণতা থেকে যায়। তাই হলুদের চাহিদা রয়েছে প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি তরকারিতে। আর এই হলুদের চাহিদা মেটাতে নীলফামারীতে দিন দিন বাড়ছে আবাদ। খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় হলুদ আবাদকেই বেঁচে নিচ্ছে চাষীরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, গত বছরের তুলনায় এবছর বেড়েছে হলুদের আবাদ। আবহওয়া অনুকূল থাকায় হেক্টর প্রতি উৎপাদন আশা হচ্ছে প্রায় সাড়ে চার টন হলুদ। চলতি মৌসুমে জেলায় হলুদের আবাদ হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। যা জেলায় চাহিদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সরেজমিনে টুপামারী ইউনিয়নের মোড়লের ডাঙ্গা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সুন্দর সতেজভাবে বেড়ে উঠছে হলুদের গাছ। প্রতিটি হলুদ খেত দেখে মনে হবে এটি একটি ফুলের বাগান। এসব খেতে চাষ হচ্ছে সুন্দরী, পাটনাই, বারি হলুদ-২,৩,৪,৬ সহ নানা জাতের হলুদ।
তবে কৃষকরা বলছেন, সার ও কীটনাশের দাম বেশী হওয়ায় হলুদের উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশী। তারপরেও ফলন ভালো হওয়ায় ভালো লাভের আশা করছেন চাষীরা।
কৃষক আবুল হোসেন বলেন, জৈষ্ঠ্য মাসে জমিতে হলুদের বীজ বপন করা হয়েছে। সাধারণত এই হলুদ হারভেষ্ট করতে আট মাস সময় লাগে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় হলুদের খেতে গাছ ভালোয় দেখা যাচ্ছে। আশা করছি উৎপাদন ভালো হবে। কিন্তু হলুদের বীজের দাম, কীটনাশক ও সারের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় হলুদ উৎপাদনে খরচ বেশী হচ্ছে। আমরা যদি নায্যমূল্য পাই তাহলে লাভবান হবো।
কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে হলুদের আবাদ করছি। অন্যান্য ফসলের চেয়ে হলুদ লাভজনক ফসল। এবছরও ভালো লাভের আশা করছিলাম। কিন্তু সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ হচ্ছে অনেক বেশি। আমরা চাই সার ও কীটনাশকের দিকে যেনো সরকার নজর দেয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক ডা. এস এম আবূ বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর হলুদের উৎপাদন বেড়েছে। আদার মতোই হলুদের আবাদ হচ্ছে। তবে উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশী হলেও প্রতি হেক্টর জমিতে সাড়ে চার টন হলুদ আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে হলুদের হারভেষ্ট শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত। এই হলুদ নীলফামারী জেলার চাহিদা মেটাতে গুরুতপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে