ঢাকা, শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নেতা চেনেন কর্মী, তিনি হলেন শফিক চৌধুরী

রিমা বেগম, সিলেট: | প্রকাশের সময় : শনিবার ৮ জুলাই ২০২৩ ১১:৩২:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

নেতাকে খুঁজে বের করতে হয় না কর্মীর। কর্মীকেই খুঁজে বের করেন নেতা। কর্মীদের সুখে-দুখে ছুটে যান নেতা। কর্মী কোন গ্রুপের সাথে আছেন-এই ধারণা নেই নেতার মনে। নৌকা আর শেখ হাসিনার শ্লোগান দেন-এটাই কর্মীর পরিচয়। নৌকা আর শেখ হাসিনার শ্লোগান দিয়ে কর্মী অবহেলিত থাকতে পারেন না। কর্মী মূল্যায়নে নেতাই ছুটে চলেন অবিরাম। এই নেতা হলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

২০০৭ সালে সিলেট শহরতলির পিরেরবাজারের বাড়ি থেকে আটক হয়েছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ৪০ নেতা। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরী দলীয় কর্মকান্ডের প্রতি গভীর মনোনিবেশ করেন। দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ শফিক চৌধুরীকে মূল্যায়ন করা হয় ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। এর পর থেকে নির্বাচনী এলাকাসহ পুরো সিলেট জেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আপন করে নেন তিনি। নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে নিজকে নিবেদিত করেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে শরীক দলের কোটায় চলে যায় শফিক চৌধুরীর আসনটি। শফিক চৌধুরীকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এই পদ পেয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরী জেলার আনাচে কানাচে ছুটতে থাকেন। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন কর্মীদের সাথে। পরবর্তীতে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন। দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। যে কোনো দলীয় কর্মকান্ডে ছুটে যেতে হয় তাকে। বিশেষ করে কর্মীদের খোঁজ নিতে ছুটে চলেন অবিরাম। কর্মীর ঘরে বসে দলীয় আলোচনায় মেতে উঠেন। উপস্থিত কর্মীদের কাছ থেকে দলের অবস্থা জেনে নেন। করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন।

এভাবে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে শফিক চৌধুরীর রাজনৈতিক মিশন। ইউনিয়ন নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন এলেই শফিক চৌধুরীর ঘুম হারাম হয়ে যায়। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বিজয় ছিনিয়ে আনতে ভোটারদের ঘরে ঘরে ছুটে যান। সফলও হন। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বিজয় ছিনিয়ে আনেন। সর্বশেষ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে শফিক চৌধুরী সাত সকালে মাঠে নামতেন। ঘরে ফিরতেন গভীর রাতে। এই নির্বাচনের সময় শফিক চৌধুরীর চেহারা পাল্টে গিয়েছিল। মুখের দিকে তাকালে মনে হতো তিনি কয়েক সপ্তাহ ধরে নির্ঘুম রাত-দিন কাটাচ্ছেন। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে ফিরেছেন ঘরে।
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি দিবাংশু পাল। কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে শফিক চৌধুরী ছুটে যান দিবাংশু পালের বাড়িতে। সেখানে যেতেই দলীয় নেতাকর্মীদের ভীড় জমে যায়। সবাইকে জানালেন নির্বাচনের কারণে সময় করে উঠতে পারছিলেন না। নানান আলোচনার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক আলোচনায় মেতে উঠেন তিনি। কর্মীদের নির্দেশনা দিলেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।

দিবাংশু জানান,‘আমাদের নেতা শফিক চৌধুরীকে খুঁজে বের করতে হয় না। শফিক চৌধুরী খুঁজে বের করেন কর্মীদের। যেকোনো সমস্যার সমাধান করে দেন আন্তরিকভাবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেন কর্মীদের।’