নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ডাকাতি প্রস্তুতি কালে অস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ০৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে ভোর রাতে জেলা শহরের কিরণ হোটেলের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলেন, লক্ষ্মীপুর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার কূশাখালী ইউনিয়নের পূর্ব কল্যাণপুর শেখ বাড়ির তসির আহাম্মদের ছেলে মো. ইউসুফ চোরা কালা (৩৪), সোনাইমুড়ী উপজেলার বারাইয়াপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের নিজাম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মান্নান সোহাগ ওরফে বদ্দা (৩০) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকার মীর ওয়ারিশপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. উজ্জল মিয়া (৩২)।বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে সুধারাম মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুরিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ্।তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন যাবৎ নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় একটি সঙ্গবদ্ধ ডাকাত চক্র বিভিন্ন বসত বাড়ীতে ডাকাতি করে আসতেছে বলে আমরা সংবাদ পেতাম। এমন একটা সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৩ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
আরও বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। আসামিদের দেহ তল্লাশি করে দেশিয় তৈরি একটি ওয়ান সুটার গ্যান ও ৫টি কার্তুজ জব্দ করি। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সিএনজি চালিত অটোরিকশাটিও জব্দ করা হয়।মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ্ আরও বলেন,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ডাকাতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের সর্দার ইউসুফের বিরুদ্ধে থনায় ০৮ টি ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা ও আব্দুল মান্নান সোহাগ প্রঃ বদ্দার বিরুদ্ধে ০২টি অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা রয়েছে।
আমরা আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছি। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জায়েদুল হক রনি, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠানসহ জেলা কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।