বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী দেশের সর্ববৃহৎ সাহিত্য আয়োজন অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান : নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’, যা দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটাবে।
এবারের মেলায় ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬০৯টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৯৩৭টি স্টল এবং প্রকাশক সংখ্যা ছিল ৬৩৫টি।
এছাড়া, এবারের মেলায় থাকবে ৩৭টি প্যাভিলিয়ন- বাংলা একাডেমিতে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬টি। লিটল ম্যাগাজিন চত্বরটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের পাশে গাছতলায় স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ১৩০টির বেশি লিটল ম্যাগাজিন নিজেদের প্রকাশনা উপস্থাপন করবে।
শিশু-কিশোরদের জন্য বিশেষ ‘শিশু প্রহর’ থাকবে, যা শুক্র ও শনিবার (৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি বাদে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া, শিল্পাচার্যের স্মরণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, সংগীতানুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন থাকছে মেলায়।
এই বছর বইমেলা সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব ও শূন্য-বর্জ্য নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, অংশগ্রহণকারী এবং দর্শনার্থীদের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাট, কাপড় ও কাগজের তৈরি টেকসই উপকরণ ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
মেলার সময়সূচি
- সোমবার-শুক্রবার: বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
- শনিবার ও সরকারি ছুটির দিন: সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
- দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টার বিরতি থাকবে।
- ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
অমর একুশে বইমেলা শুধুমাত্র বইয়ের প্রদর্শনী ও বিক্রির জায়গা নয়, এটি বাঙালির সংস্কৃতি ও চেতনার অন্যতম প্রতীক, যেখানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি লেখক-পাঠকদের সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হয়। এবারের মেলাও সেই ঐতিহ্যকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বায়ান্ন/এএস/একে
