‘মাঠে ও বাইরে বহু শিক্ষার্থীদের দেখতে পাই। তারা আমাকে দেখে স্লোগান দেওয়া শুরু করে। নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে আসি।’
সাবেক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে রাজধানীর মিরপুরের ‘বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ থেকে একজন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।
বরখাস্ত করা ওই শিক্ষকের নাম ধীরেন মাহাতো। তিনি গণিত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে নানা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে গত ১৯ ডিসেম্বর আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর ৯ জানুয়ারি আমাকে শোকজ করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আমাকে প্রতিষ্ঠানে ডেকে পাঠানো হলে আমি যাই। সেখানে মাঠে ও বাইরে বহু শিক্ষার্থীদের দেখতে পাই। তারা আমাকে দেখে স্লোগান দেওয়া শুরু করে। নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে আসি।’
‘পরে আমাকে আবার প্রতিষ্ঠানে যেতে বলা হয়। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমি সেখানে যাইনি। পরে জানতে পারি আমাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
এই শিক্ষকের অভিযোগ, তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর তাকে শোকজ করা হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও বাঙালি অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরে সমাজ মাধ্যমে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। ওই ঘটনাগুলো হল, সমতলের এক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষকের ওপর প্রতিষ্ঠানটির রেক্টর কর্তৃক উগ্র সাম্প্রদায়িক আচরণ, ওই শিক্ষকের ওপর রেক্টরের ভাড়া করা সাম্প্রদায়িক বাহিনীর আক্রমণের চেষ্টা, পার্বত্য বৌদ্ধ সংঘোর কাছে ৬০ লাখ টাকা ভাড়া বকেয়া, আদিবাসীদের চাকরিচ্যুতি, বাঙালি অভিভাবকদের সঙ্গে রেক্টরে অসৌজন্যমূলক আচরণ ইত্যাদি।
বরখাস্তের বিষয়ে অধ্যক্ষ সুদীপ কুমার মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বিষয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা বলতে পারবেন। আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
সূত্র : খবর সংযোগ