সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৭ জন প্রাণ হারাচ্ছেন। এক বার্ষিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপে’ এ তথ্য জানানো হয়। যৌথভাবে এর আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ এবং সেবক ও ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টার।
সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে গবেষক কাজী আবুল আল আতাহিয়া বলেন, গত এক বছরে দেশে পাঁচ হাজার ৩৭১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ হাজার ২৮৪ জন নিহত এবং ৭ হাজার ৪৬৮ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এসব দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে অক্ষম হয়েছেন সাড়ে ১২ হাজার জন। মৃত্যুর হিসেবে দেশে গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা করোনাভাইরাসের মতো মহামারি মোকাবিলা করতে পারি। অথচ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে তেমনভাবে কাজ করছি না। এ বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার। দুর্ঘটনা রোধে চালকদের নিরাপদে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ এবং তাদের সুষ্ঠু-সুন্দর জীবনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেন, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ চালক তৈরি করতে না পারলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে। চালককে আগে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এরপর তাকে চালকের লাইসেন্স দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) আরও সচেতন হতে হবে।
সেবকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান মোহাম্মদ বাবুলের সভাপতিত্ব ও পার্থ সারথি দাসের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন- ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক নুরুন্নবী শিমুল, রোড সেফটি এলায়েন্সের প্রতিনিধি আবদুল ওয়াহেদ, মোটর ড্রাইভিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল বাশার, শাহীন হোসেন মোল্লা ও সোনিয়া শিব্রা প্রমুখ।