ঢাকা, মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ই পৌষ ১৪৩১

প্রশংসায় ভাসছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ ০৩:৫৬:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রশংসায় ভাসছেন। নগরবাসী মধ্যে উল্লাস প্রকাশ পাচ্ছে তাঁকে নিয়ে। সর্বস্তরের মানুষ বলছেন কথায় নয় কাজে প্রমাণ করছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান জনসেবক। মানুষের সেবা করার জন্যে তিনি এসেছেন। আগামীতে মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের প্রতিটি পদক্ষেপ নগরবাসীর জন্যে কল্যাণ বয়ে আনবেন বলে প্রত্যাশা নগরবাসী। নগরীর ফুটপাথ স্থাীয়ভাবে হকারমুক্ত করায় নগরবাসীর মধ্যে উচ্ছাস সৃষ্টির পাশপাশি পুরো নগরী পরিপাটি রূপ নিয়েছে। নগরবাসীর উচ্ছাস ভাগাভাগি করতে প্রতিদিনই মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন গ্রিন, ক্লিন ও স্মার্ট সিটি প্রতিষ্ঠার জন্যে।

সিলেট নগরীতে হকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। নগরবাসী এ নিয়ে নানান ধরণের বিরূপ মন্তব্য করে আসছিল । মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব নেয়ার পর হকার সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পদক্ষেপ নেন। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ফুটপাথ থেকে সরিয়ে নির্ধারিত একটি স্থানে জায়গা করে দেয়ার পরিকল্পনা নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী নগর ভবনের পেছনে লালদিঘির পাড়ে বিশাল এলাকাজুরে হকারদের তৈরি করেন গ্রাউন্ড। ১০ মার্চ নগরীর সকল হকারকে সেখানে স্থান করে দিয়েছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

পাঁচদিনের মধ্যে হকাররা সেখানে ব্যবসা জমিয়েছেন অনেক। শুক্রবার রাতে ওই হকার বাজারে দেখা হয় হকার নেতা আবদুর রকিবের সাথে। তিনি জানান বছরের পর বছর হকাররা পেটের দায়ে ফুটপাথে ব্যবসা করতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে কেউ তেমন গুরুত্ব দেননি। মেয়র আন্য়োারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব নেয়ার পর হকারদের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেন। চার মাসের মাথায় তিনি হকারদের নতুন ঠিকানা দিয়েছেন। যার সুফল ভোগ করতে শুরু করেছেন নগরবাসী। মির্জাজাঙ্গালের বাসিন্দা আবদুর রহমান ওই বাজারে এসেছিলেন। নানান ধরণের সাকসবজিসহ মাছ কিনে বাসায় ফিরছিলেন। তিনি জানালেন, দুইটি কারণে তিনি ওই বাজার থেকে সওদা করেছেন। প্রথমত এখানে তুলনামুলকভাবে জিনিসপত্রের দাম কম। এছাড়া এখানকার হকারদের সহযোগিতা করা হবে এই বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনলে। তিনি আরো বলেন, যুগযুগ ধরে দেখে আসছি সিলেট নগরীর হকার সমস্যা। পৌর চেয়ারম্যান বলেন আর মেয়র বলেন অনেকেই দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু হকার সমস্যার সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেননি। যা নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ বিরাজ করছিল। সেই ক্ষোভের অবসান ঘটিয়েছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

শুক্রবার বিকেল তিনটার পর থেকে নগরীর পাঠানটুলার বাসায় সাধারণ নাগরিকের আনাগোনা দেখা গেছে। অনেকে গেছেন ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে। হকার সমস্যার সমাধান করায় সকলের মুখ থেকে প্রশংসা উচ্চারিত হচ্ছিল। আসর নামাজের আজান পড়তেই মেয়র আনোয়ারুজ্জামান তড়িঘরি করে বের হয়ে রওয়ানা হলেন নগরীর বন্দরবাজারের কুদরত উল্লাহ মসজিদে। এই মসজিদে নামাজ পড়েন। পড়ে বৈঠক করেন মসজিদ কমিটির সাথে। এখানেই ইফতার সম্পন্ন করেন। মাগরিবের নামাজ শেষে জেলরোডের একটি অভিজাত পার্টি সেন্টারে সিলেট ফিটনেস ক্লাবের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানে মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের ব্যাপক প্রশংসা করা হয় ফুটপাথ হকারমুক্ত করা হয়। সিলেট ফিটনেস ক্লাবের সভাপতি জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

তিনি বলেন, সিলেট নগরী ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্পের ডাউকি ফল্টে এই নগরীর অবস্থান। বড় ধরণের ভূমিকম্পের আশংকা করা হচ্ছে। কিন্তু এই নগরীতে একটির পর একটি উঁচু ভবন তৈরি হচ্ছে। বড় ধরণের ভূমিকম্প হলে বিপর্যয় নেমে আসবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে আমাদেরকে রক্ষা করার জন্যে মহান সৃষ্টিকর্তার অনুকম্পা কামনা করতে হবে।

মেয়র বলেন, ওসমানীনগর ও বিশ^নাথ নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এদেশের মানুষের ভরসার স্থল জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। যা কোনোদিন ভাবিনি। বঙ্গবন্ধুর নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছি।

তিনি বলেন, নগরবাসীকে কথা দিয়েছি গ্রিন, ক্লিন ও স্মার্ট সিটি উপহার দেয়ার। এই কাজে সফল হওয়ার জন্যে তিনি সহযোগিতা কামনা করেন সকলের।