বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি বিমান ফের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার আওতাধীন কোনারপাড়া সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫-এর পাশে মিয়ানমার-বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করে বিমানটি।
তবে এ বিষয়ে বিজিবি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি বিমান ঘুমধুম এলাকার সীমান্ত পিলার ৪০-৪১-এর পাশে মিয়ানমার-বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করতে দেখা যায়। পাশাপাশি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্তের পাশের গ্রামগুলো থেকে অনেকে অন্যত্র সরে গিয়ে অবস্থান করছেন। ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম উদ্বেগ -উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ঘুমঘুমের তমব্রু এলাকার বাসিন্দা সৈয়দুল বশর বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। জুমার নামাজের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি বিমানকে বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করতে দেখা গেছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি বিমান বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করেছে। পাশাপাশি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। তবে মিয়ানমারের আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি জানি না। এ বিষয়ে জেনে পরে জানাতে পারব।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল ওই দুটি মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করেন। এরপর দুই দিন মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি বন্ধ থাকার পর ফের গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেখানে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের মিয়ানমার সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকা থেকে অনেকে অন্যত্র সরে গিয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।