বাগেরহাট: কয়লা সংকটে পাঁচদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।
এর আগে উৎপাদন শুরুর এক মাসের মধ্যেই গেল ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়েছিল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর কয়লা প্রাপ্তি সাপেক্ষে ১৫ ফেব্রুয়ারি আবার উৎপাদন শুরু হয়।
এরপর ১৫ এপ্রিল রাত থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবারও বন্ধ হয় এই মেগা প্রকল্পের উৎপাদন। তিনদিন বন্ধ থাকার পর ১৮ এপ্রিল তা আবার সচল হয়।
জানা গেছে, গত রোববার (২৩ এপ্রিল) রাত থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানি করতে না পারায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়লা পেলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে আবারও উৎপাদন শুরু হবে।
গেল বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। ১৭ ডিসেম্বর থেকে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া শুরু হয়। তখন ২০২৩ সালের জুনে এ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ৮০ লাখ মেট্রিক টন কয়লা কেনার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত খুব অল্প পরিমাণ কয়লা আমদানি করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কয়লা সংকটের কারণে গত ২৩ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে কয়লা আনার জন্য নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ৩ মে আবারও উৎপাদন শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলেছে, মূলত ডলার সংকটের কারণে দীর্ঘদিন অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার ব্যাপারে কড়া অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তালিকায় কয়লাও পড়ে যায়। এমন অবস্থায় কবে নাগাদ কয়লা আমদানি স্বাভাবিক হবে এবং এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে ১৭ জানুয়ারি কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।