বগুড়ার গাবতলিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। অপর দিকে ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ জানুয়ারি ৫ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় বগুড়ার গাবতলি উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাইহাটা গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ৪ জন এবং রামেশ^রপুর ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সর্মথকদের সংঘর্ষে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে একজন মারা যান। এরা হলেন- আব্দুর রশিদ, কুলসুম বেগম, আলমগীর, খোরশেদ আলী ও জাকির হোসেন।
আজ সোমবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সহিংসতায় নিহত পরিবারদের নিকট ১ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক। এসময় বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিববর রহমান মজনু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগ,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সালাউদ্দিন আহম্মেদ, গাবতলি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক জাহান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিনেওয়াজ খান রিবনসহ গাবতলি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও ইউপি চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের প্রতি সহানুভুতি জানিয়ে বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের সহযোগীতায় জেলা প্রশাসন পাশে থাকবে। পরে জেলা প্রশাসক জানান, বালিয়াদিঘীর সহিংস ঘটনায় তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন গাবতলির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক জাহান, ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম ও উপজেলা নিবাচন কর্মকর্তা ও বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের রিটানিং অফিসার রুহুল আমিন।