ঢাকা, শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮শে পৌষ ১৪৩১

বগুড়ায় বিএনপি’র সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া-সংঘর্ষ,আহত ১৫

বগুড়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:২৮:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

পিকেটারদের হামলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও রোগীবাহী যানবাহন ভাংচুর

 বগুড়ায় রবিবার হরতাল চলাকালে বিএনপি’র সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরিত হয়। বিএনপি’র পিকেটাররা  মাইক্রোবাস, ইজিবাইক এ্যাম্বুলেন্স ও একটি বেরসরকারী হাসপাতালের রোগীবাহী বাস ভাংচুর করে। এতে বেশ কয়েকজন রোগী আহত হয়। এছাড়া বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ভাংচুর করে হরতাল সমর্থনকারীরা। সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ, সংবাদকর্মী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে।

সকাল থেকে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে পিকেটিং ও যানবাহনে হামলা চালায়। তবে বিএনপি’র এই সত্বেও শহর এলাকায় যানবাহন চলাচাল ছিলো স্বাভাবিক। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ছিলো খোলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। সকালে শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অপর দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা এর পর পরেই শহরের টেম্পল রোডে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসার চেস্টা করলে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে। হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল ও শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক উদয় কুমার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়সহ ৫/৬ জন আহত হন। এছাড়া আয়েজ আলী নামে এক দিনমজুর আহত হন। দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েক দফা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। এছাড়া নওয়াব বাড়ি সড়কে আরেক দফা পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় বিএনপি’র। অপর দিকে বগুড়া-রংপুর সড়কে সদরের বাঘোপাড়া খোলারঘর এলাকায় পিকেটাররা টিএমএসএস হাসপাতালের রোগীবাহী এ্যাম্বুললেন্স ও বাস, মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যানবাহন ভাংচুর করে। এসময় পুলিশ সেখানে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ ধাওয়া ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেও সেখানে পুলিশের ২ সদস্য আহত হয়। এসময় ৬জন রোগী আহত হয় বলে ওই বেসরকারী হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এছাড়া দৈনিক করতোয়ার অনলাইন রিপোর্টার রাহাতুল আলম রাহাত একই স্থানে পিকেটারদের হামলায় আহত হয়। এদিকে দুপুরে একই স্থানে বগুড়া সদরের নিবার্হী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভাীনে গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে বিএনপি সমর্থকরা। তিনি উপজেলা সদরের লাহেড়ি পাড়া ইউনিয়ন থেকে উপজেলা পরিষদে ফিরছিলেন। এছাড়া সদরের বারপুর এলাকাসহ শহরের বিভিন্নস্থানে পিকেটাররা যানবাহন ভাংচুর করে। বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, বগুড়া সদর থানার ওসিসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অপর দিকে বিএনপির সহিংসতার বিরুদ্ধে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ শহরের সাতমাথায় মুজিব মঞ্চে দুপুরে শান্তি সমাবেশ করেছে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।