ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ০৩:৫৪:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য প্রণীত ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ বাতিলের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আইনটি বাতিল হলে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ আর বিশেষ নিরাপত্তা পাবেন না।

 

আজ‌ (বৃহস্পতিবার) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয় যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায়‌‌ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষভুক্ত হওয়ার প্রস্তাবও অনুমোদন‌ দেওয়া হয়েছে।

 

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান পরিবেশ বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে— জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যগণের নিরাপত্তা প্রদান সংক্রান্ত বিধানসমূহ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় কার্যকর করা সম্ভব নয় বিধায় আইনের কতিপয় বিধান বিলোপসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি সংযোজনপূর্বক ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (Special Security Force) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়েছে। 

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ (২০০৯ সালের ৬৩ নম্বর আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ১৫/০৫/২০১৫ তারিখে উক্ত আইন অনুসারে বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুবিধাদি প্রদানের গেজেট জারি করা হয়। কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য আইনটি করা হয়েছিল; যা একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য। 

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে। বর্তমানে সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই আইনটি রহিতকরণকল্পে অধ্যাদেশ জারি করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠক কর্তৃক ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয় ।