বাঁশখালীর সরল উপকূলে ডাকাতি হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ডজনখানেক মামলার আসামী ডাকাত সন্ত্রাসী নুরুল আমিন ভাউয়্যা ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে এসে এই সন্ত্রাসী আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এলাকায় জায়গা জমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে লিপ্ত নুরুল আমিন ভাউয়্যা ও তার বাহিনীর সদস্যরা। ডাকাত সর্দার নুরুল আমিন ভাউয়্যা তার সহযোগী আমির হোসেন ও আলী হোসেনের নেতৃত্বে তার বাহিনীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রেহায় পায়নি শিক্ষক আলেম ওলামাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তাদের অত্যাচারের হাত থেকে রেহায় পায়নি সরলের খ্যাতিমান শিক্ষক মাস্টার তাহের উল্লাহ চৌধুরী, মাস্টার কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও মাওলানা মোজাম্মিল হকের পরিবারও। সরলের আলোচিত আমিরুজ্জামান হত্যার অন্যতম আসামি র্য্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ডজনখানেক মামলার আসামি নুরুল আমিন ভাউয়্যা মাওলানা মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করলে মাওলানা মোজাম্মেল বাদী হয়ে মামলা করেন।
উক্ত মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। একই সাথে সন্ত্রাসীরা ১৬ কানি জায়গা দখল করে নেয়ার পাশাপাশি একটি পুকুরও দখল করে নেয়। জায়গা জবর দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি প্রতিনিয়ত প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসী নুরুল আমিন প্রকাশ (ভাওয়া) ও তার বাহিনীর লোকজন। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করলেও তিনি জামিনে এসে আবারো অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নঘটালে কাউকে রেহায় দেয়া হবে না।
এদিকে ডাকাত সন্ত্রাসী নুরুল আমিন ভাউয়্যা ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নিতে দাবী জানিয়েছে এলাকার মানুষ।