প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসতে থাকে। তবে এবার অনিশ্চয়তার মধ্যেও কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছে। ফিস ইমপোর্টার অ্য়াসোসিয়েশন ভারত। ইলিশ রফতানির জন্য় আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কাছে।
এবার ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। পুজো মানেই খাওয়া দাওয়া। পুজো মানেই ইলিশ মাছ। আর ইলিশ মাছ মানেই সেই পদ্মার ইলিশ। কিন্তু এবার পুজোর আগে কি বাংলাদেশের ইলিশ এপার বাংলায় আসবে? এই প্রশ্ন ওঠাটা এবার সঙ্গত। কারণ এবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। প্রতিবার শেখ হাসিনা সরকার ভারতে ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন। তবে এবার পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম। এবার হাসিনা আর সরকারে নেই। বাংলাদেশ ছেড়েও চলে গিয়েছেন। ইলিশ কি আসবে এপার বাংলায় ভারতে
গত ৫ বছর ধরে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিস ইমপোর্টার অ্য়াসোসিয়েশন।
এদিকে বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা ও অসমে যায় বাংলাদেশের ইলিশ। বছর ভর এপার বাংলার মানুষ বাংলাদেশের ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন। আর বাংলাদেশের ইলিশ হলে পুজো একেবারে জমে যায়। গত বছরও ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছিল বাংলাদেশ থেকে। তবে এবার কতটা ইলিশ আসবে, আদৌ আসবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।
অনেকের মতে অন্তর্বর্তী সরকার আসার আগে থেকেই বাংলাদেশে ভারত বিরোধী হাওয়া বইতে শুরু করেছিল। তবে এবার সেই হাওয়া কি ইলিশের উপরেও পড়বে? এসব নিয়ে চর্চা একেবারে তুঙ্গে।
তবে দাম যতই বেশি হোক অনেকেই বাংলাদেশের ইলিশ কিনে থাকেন। অনেকের কাছে বাংলাদেশের ইলিশ ছাড়া যেন উৎসব সম্পূর্ণ হয় না। অনেকে আবার যাঁরা শেকড় ছিঁড়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন তাঁদের কাছে এই পদ্মার ইলিশ যেন কিছুক্ষণের জন্য ফেলে আসা ভিটে মাটির সোঁদা গন্ধ বয়ে আনে।
তবে এবার প্রশ্ন ইলিশ আসবে কি না বাংলাদেশ থেকে? কতটা ইলিশ আসবে? সেই ইলিশের দাম কি মধ্য়বিত্তের নাগালের মধ্যে থাকবে? পুজোর আগে আসবে নাকি তার দিনের কোনও পরিবর্তন হবে?
এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে পদ্মার ইলিশ এপারে এলে খুশি হন মৎস্যব্যবসায়ীরাও। কারণ এই ইলিশ বিক্রি করে লাভ অনেকটাই হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।