যশোরের বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল চালু করতে বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল বন্ধ করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সারাদেশের সাথে বেনাপোল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন ব্যবসায়ী সমিতি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থলবন্দর ব্যবহারকারী পাসপোর্টধারীরা। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চিকিৎসা, ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে ৫ থেকে ৭ হাজার পাসপোর্টধারী পারাপার হন। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে আটকা পড়েছেন ভারতফেরত কয়েক শ পাসপোর্টধারী।
স্থলবন্দরে পাসপোর্টধারী করিম শেখ বলেন, ‘পাসপোর্টধারীদের নিরাপত্তা ও সেবার কথা বিবেচনা করে সরকার বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ করেছে। এখন এ টার্মিনালে যাত্রীসেবা বন্ধ করে দেওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়েছে। পৌর বাস টার্মিনালে নিরাপত্তা সংকট রয়েছে।’ ছিনতাইসহ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
পরিবহন ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতগামী পাসপোর্টধারীদের সেবায় বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল ব্যবহার করতেন তাঁরা। কিন্তু পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে পৌর বাস টার্মিনাল চালু করতে গত বৃহস্পতিবার বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল বন্ধ করে দেয়। তবে ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীবাহী রাতের বাসগুলো বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবে বলে জানানো হয়। কিন্তু হঠাৎ গত শুক্রবার রাতে কোনো বাস চেকপোস্টে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি এবং ব্যবসার ক্ষতির প্রতিবাদে তাঁরা সারা দেশ থেকে বেনাপোল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকায় শ্যামলী এনআর বাস কাউন্টারের স্টাফ মনজিল হোসেন জানান, যাত্রী ভোগান্তি ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ না থাকার কারণে বেনাপোল রুটে কোনো বাস ছাড়েনি। মালিকপক্ষের নির্দেশ পেলে পরিবহনসেবা আবারও শুরু করবেন তাঁরা।
বেনাপোল পৌরসভার প্রশাসক কাজী নাজিব হাসান বলেন, ‘প্রথম দিন অনেকে বুঝতে না পারায় কিছুটা ভুল হতে পারে। পরে রাত ১০টার পর থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত দূরপাল্লার বাসগুলো বেনাপোল বন্দর চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালে যাত্রী নামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এতে ধর্মঘটকারীরা ধর্মঘট তুলে নেবেন।
বায়ান্ন/এসএ