সরকার আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘোষণা দিয়েছে, আগামী সোমবারের মধ্যে এ শুল্ক প্রত্যাহার না করা হলে তারা আমদানি কার্যক্রম স্থগিত করবে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি ফারুক সিদ্দিকী। তিনি বলেন, বাড়তি শুল্কের ফলে ফলের বাজারে স্থবিরতা নেমে এসেছে, যা ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ফারুক সিদ্দিকী বলেন, আগে যেখানে প্রতিদিন এক ট্রাক ফল বিক্রি করা সম্ভব ছিল, এখন ৩-৪ দিনেও বিক্রি হচ্ছে না। ফলে পোর্ট থেকে পণ্য খালাস করতে পারছি না, অথচ শিপিং ও পোর্টে বাড়তি ডেমারেজ দিতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ব্যবসায়ীরা ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়ছেন। এ অবস্থায় যদি সরকার বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে মঙ্গলবার থেকে দেশের সব স্থল ও নৌবন্দর দিয়ে আমদানি করা তাজা ফলের খালাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট চাহিদার মাত্র ৩৫-৪০ শতাংশ ফল উৎপাদিত হয়, আর বাকি ৬০-৬৫ শতাংশ আমদানি নির্ভর। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে আমদানি ব্যয় বাড়বে, যা সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে প্রভাব ফেলবে। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, এতে ফলের দাম বাড়বে এবং সরবরাহ সংকট দেখা দিতে পারে।
সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আমদানিকারকদের এই হুঁশিয়ারির ফলে বাজারে প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বায়ান্ন/এএস/একে