ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতালা ইউনিয়নের কান্তিভিটা সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে এবার এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কিশোরের বাবাসহ দুই বাংলাদেশি।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ধনতালা বিজিবি সীমান্তের মেইন পিলার ৩৯৩ এর পাশ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকালে ভারতীয় ডিংগাপাড়া বিএসএফ গুলি চালালে জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫) নামে এক কিশোর ভারতের অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ফকির ভিটা গ্রামের মহাদেব কুমার সিংহের ছেলে।
এ সময় তার বাবাসহ দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে রংপুরে গোপনে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন- ফকির ভিটা বেলপুকুর গ্রামের মহাদেব কুমার সিংহ ও নিটালডোবা গ্রামের দরবার আলীর ছেলে বাংঠু মোহাম্মাদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির।
তিনি বলেন, কী কারণে তারা সীমান্তে গিয়েছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিহতের মরদেহ বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তানজির আহমদ বলেন, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি।
এর আগে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী স্বর্ণা দাস (১৬)। প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে তার মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
নিহত স্বর্ণা মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের পরেন্দ্র দাসের মেয়ে।
পরেন্দ্র দাস জানান, ভারতের ত্রিপুরায় তার বড় ছেলে থাকেন। তাকে দেখার জন্য ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্থানীয় দুই দালাল ধরে স্বর্ণা ও তার মা রোববার রাতে লালারচক সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে স্বর্ণা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। স্বর্ণার মাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মরদেহ ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল। পরে রাতে বিজিবির একটি দল বাড়িতে এসে জানায় স্বর্ণার মরদেহ বিএসএফ নিয়ে গেছে।