মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুর রহমানের জামিন বাতিল করে আদালত ফের কারাগারে পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ইং, মৌলভীবাজার নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সোলায়মান ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি জামিনে থাকা মুহিবুর আদালতে গেলে তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তোফায়েল ইসলাম সবুজ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ হিঙ্গাজিয়া (তামারপাড়) গ্রামের মৃত. সাজিদ মিয়ার ছেলে কুলাউড়া উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মুহিবুর রহমান একই এলাকার এক কলেজছাত্রীকে (২৬) প্রেম নিবেদন করে উত্ত্যক্ত করতেন। কিন্তু মুহিবুর ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও তার স্ত্রী-সন্তান থাকায় ওই ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে। পরে মুহিবুর ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবেন বলে প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে কলেজছাত্রী তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে মুহিবুর নানা টালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী গত বছরের ২৯ মে দুপুরে আসামিকে স্থানীয় বাজারে পেয়ে তাকে বিয়ের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জোর দাবি জানায়। এ সময় মুহিবুর ও তার পরিবারের লোকজন কলেজছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ভুক্তভোগী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে চিকিৎসা নেন।
গত বছরের ৩১ মে কুলাউড়া থানায় মুহিবুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ১ জুন মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার অভিযোগে গত বছরের ১৩ জুন মৌলভীবাজার আদালতে জামিন নিতে গেলে আ.লীগ নেতা মুহিবুর গ্রেপ্তার হন। এ নিয়ে এই মামলায় তিনি দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার হলেন।