ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্রীজ নয় মরন ফাঁদ, দ্রুত সংস্কারের দাবি দুই পাড়ের বাসিন্দাদের

মোঃ নাঈমূর রহমান রনি, কলাপাড়া (পটুুয়াখালী) : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১০ জুলাই ২০২৪ ০৩:০৬:০০ অপরাহ্ন | বরিশাল

পটুুয়াখালীর কলাপাড়ায় চম্পাপুর ইউনিয়নের টেপুরা নদীর ব্রীজটি বর্তমানে মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। 

ব্রীজটির দু'পাশের ঢালাই খসে পড়ে লোহার জালি বের হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এই ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেক মানুষ দূর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ব্রীজের এক প্রান্তে কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়ন অপর প্রান্তে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন। এ দুই ইউনিয়নের  অন্ততঃ ১৭ টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করছে। তবে  ব্রীজের যে অংশের ঢালাই কিছুটা ভাল রয়েছে,তারও ট্যাম্পার অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষের চলাচলের বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজটি দিয়ে যাতায়াত করছে । 

 

ব্রীজটির দৈর্ঘ্য অন্ততঃ ২০০ ফুট এবং প্রস্থ অন্ততঃ ১০ ফুট। এটি ২০০৪ সালে এল.জি.ই.ডি'র অর্থায়নে নির্মিত হয়েছিল বলে জানা গেছে। ২০১৯ সালের শেষের দিকে ব্রীজটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। গত দু'বছর ধরে এটি ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। ব্রীজ পুনঃ নির্মান এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। জন গুরুত্বপূর্ণ এ টেপুরা ব্রীজটি দিয়ে শতশত শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করলেও বর্তমান অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে গমন অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

 

এ ব্যাপারে কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো.শাহারুল ইসলাম জানান, তার গ্রামের বাড়ী চম্পাপুর ইউনিয়নে, বিশেষ কাজে মাঝে মাঝে ওই ব্রীজ পারাপার হতে হয়। তবে এটি ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

একই ইউনিয়নের মিঠুন প্যাদা বলেন' ওই এলাকার মানুষের দূর্ভোগের নাম 'টেপুরা ব্রীজ'। যা বছরের পর বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটি দ্রুত পুনঃ নির্মানের দাবী জানান তিনি।

 

কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউিনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মাহবুবুল আলম ওরফে বাবুল মাষ্টার জানান, টেপুরা নদীর উপর পরিত্যক্ত ব্রীজটির এক প্রান্ত কলাপাড়া উপজেলার  চম্পাপুর ইউনিয়ন, অপর প্রান্ত আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন। এ দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের ভরসাস্থল টেপুরা ব্রীজটি। এটি এর আগে আমতলী এল,জি,ই,ডি থেকে নির্মান করে দেয়া হয়েছিল। ফলে এখনো হয়তো তারাই করবে। তবে এ ব্রীজটি দুই ইউনিয়নের জন্য খুবই অগুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক জানান, টেপুরা নদীর ব্রীজটি খুবই জন গুরুত্বপূর্ণ।  এটি নির্মানে ২০২১ সাল থেকে প্রত্যেকটি মাসিক মিটিংয়ে  বিষয়টি তুলে ধরি। তবে হলদিয়া ইউনিয়নে   একটি ব্রীজ ভেঙ্গে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখন যদি টনক নড়ে। তবে নতুন ব্রীজ নির্মানে  আপ্রান চেষ্টা চালাবেন বলে  উল্লেখ করেন তিনি।