ঢাকা, রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯শে পৌষ ১৪৩১

মাদারীপুরে মাদ্রাসাছাত্রকে আছাড় দিয়ে মেরুদন্ড ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

মোঃ রোমান বেপারী, মাদারীপুর : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:২৮:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
মাদারীপুরে মাদ্রাসাছাত্র কথা না শোনায় বেদম মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে ৮ বছরের শিশুটিকে তুলে দেয়া হয় আছাড়। এতে মেরুদন্ড ভেঙ্গে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে চিকিৎসক। 
 
গত সোমবার ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হয়। আহত ফায়েজ হাওলাদার মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়াচর গ্রামের সবুজ হাওলাদারের ছেলে। 
 
আর অভিযুক্ত মাহাদী হাসান চরমুগরিয়া এলাকার জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যারেট কেয়ার মাদ্রাসার নুরানী শিক্ষক।
 
পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার ভোরে মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যারেট কেয়ার মাদ্রাসার নাযেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়েজকে ঘুম থেকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাহাদী হাসান। এ সময় ফায়েজকে শ্রেণিকক্ষে উঠে দাঁড়াতে বলেন তিনি। শিক্ষকের কথা মতো না দাঁড়িয়ে, শ্রেণিকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি। পরে রাগন্বিত হয়ে ফায়েজকে বেত্রাঘাত করে মাহাদী হাসান। এক পর্যায়ে রাগন্বিত হয়ে তুলে আছাড় দেয়া হয় ফায়েজকে। বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরদিন মঙ্গলবার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ফায়েজকে ভর্তি করা হয় মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে। পরে জানানো হয় পরিবারের সদস্যদের। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ধরা পড়ে শিশুটির মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে। বুধবার রাতে তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে চিকিৎসক।
 
এ ব্যাপারে জানতে মাদ্রাসায় গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। আর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইমরুল কায়েম গণমাধ্যমে পরে কথা বলবেন বলে জানান।
 
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম খান জানান, বিষয়টি এরইমধ্যে পুুলিশের নজরে এসেছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।