করোনাকালে ‘বই উৎসব’ না হলেও স্কুলে স্কুলে শিক্ষকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছেন নতুন বই। শনিবার সকাল থেকে রাজশাহীর স্কুলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বই। রাজশাহী জেলায় এবার প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট ৫ লাখ ২০ হাজার ৫১৮ জন শিক্ষার্থী পাচ্ছে নতুন বই। নতুন বই পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। নতুন বইয়ের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
রাজশাহী জেলায় এবার প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লাখ ২০ হাজার ৫১৮ জন। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬১২ জন। মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ১ লাখ ৮৬ হাজার জন। এছাড়া ৪৭ হাজার ৯০৬ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন বই।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে জেলায় মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯৪৫। এরমধ্যে ১ হাজার ৫৭টি সরকারি, বাকিগুলো বেসরকারি। প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে একটি করে বই। মোট বইয়ের চাহিদা ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮৬২টি। চাহিদার ৮৪ শতাংশ বই পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে সাধারণ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫৪৭টি। বইয়ের চাহিদা ৪৮ লাখ ৭১ হাজারটি। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ বই রাজশাহীতে এসেছে। সেগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহীর সরকারি পিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান তৌহিদ আরা বলেন, ‘আমরা সব বই পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিতে পেরেছি। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ। তবে উৎসব হলে আরও ভালো লাগত।