ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

রাষ্ট্র সংস্কারে ৯ দফা দাবিতে যশোরে গণ সমাবেশ

আব্দুল্লাহ আল মামুন, যশোর : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১০ অগাস্ট ২০২৪ ০৫:৫৮:০০ অপরাহ্ন | খুলনা

রাষ্ট্র সংস্কারে ৯ দাফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৯ আগস্ট শুক্রবার আসর বাদ যশোর দড়াটানা ভৈরব চত্বরে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যশোর জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মোঃ আব্দুল হালিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সোয়াইব আহমেদ।

 

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, "সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, অহিংস, যৌক্তিক ও অরাজনৈতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সহিংসতায় দুই সপ্তাহ ধরে দেশে নজিরবিহীন ও নির্মম হত্যাকাণ্ড, ধারাবাহিক বেআইনি নির্যাতন ও নিপীড়ন, বিচারহীন মামলা, যথেচ্ছ হামলা, গণগ্রেপ্তার, অবৈধ রিমান্ড, নিরাপত্তা দেওয়ার ভুয়া যুক্তিতে গোয়েন্দা কার্যালয়ে আটক ও নির্যাতন, হুলিয়া-পরোয়ানা, অনলাইন-অফলাইন হুমকিসহ সংবিধান, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার বিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এক নৈরাজ্যপূর্ণ ও বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল তা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষীদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন,স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। এখন সময় দেশ গড়ার। এখন সময় সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণের।" এই যুগ সন্ধিক্ষনে আগামী পরিকল্পনা হিসেবে আমরা কিছুু প্রস্তাব তুলে ধরতে চাই।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।গ্রহনযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। একই সাথে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আহত/নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে গত ১৬ বছরে সকল দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সকল সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিগত ১৬ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। সকল দুর্নীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠির চিন্তা-চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং অবাধ, সুষ্ঠ গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি  চালু করতে হবে।আওয়ামী দুঃশাসনের বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এদেশের সাধারণ শিক্ষাখাতের মান ও নৈতিকতা। এই ক্ষতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে একটি জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ।

এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন  জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল আলম খোকা,  বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.আবু নসর,সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল হালিম, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সরদার,সংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ আব্দুর রশিদ, প্রচার-দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক গাজী সহিদুল ইসলাম, সদর থানা সভাপতি মোঃ আখতারুজ্জামান, জেলা শ্রমিক আন্দোলনের সহসভাপতি মুফতি সাকের,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ,যশোর জেলা সভাপতি মোঃ ইমরান হোসাইন মণিরামপুর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ইবাদুল ইসলাম মনু সহ বিভিন্ন উপজেলা ইউনিয়নের নেতাকর্মী বৃন্দ।