ইউরোপের সম্ভাবনাময় দেশ রোমানিয়ায় চামড়া, প্লাস্টিক, ফার্মাসিউটিক্যাল ইত্যাদি পণ্যসহ জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ দেখছে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের (এফবিসিসিআই)। এ লক্ষ্যে কাজও করতে চায় সংগঠনটি।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে রোমানিয়ায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন দেশটির রাষ্ট্রদূত মিস ডেনিয়েলা সেজনোভ ট্যান।
রাষ্ট্রদূত জানান, রাসায়নিক পণ্য, ম্যাশিনারি যন্ত্র, জ্বালানি, ক্লিন এনার্জি, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি খাতে অনেক এগিয়েছে রোমানিয়া। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধান চালাবে দেশটি।
দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের রোমানিয়া সফরের আহ্বান জানান তিনি।
তবে জনশক্তির রপ্তানির ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ার ভিসা নিয়ে আসা বেশিরভাগই রোমানিয়ায় পৌঁছে ইউরোপের অন্যান্য দেশেন উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। এজেন্সিগুলোকে অর্থ পরিশোধ করায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন রোমানিয়া সরকার। এ ব্যাপারে কাজ করার দরকার বলেও জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, রোমানিয়ায় ভালো বেতনসহ কাজের সুযোগ নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। এতে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ও সহায়তা করবে।
সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিকস, প্লাস্টিক পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য ইত্যাদির পাশাপাশি আইটি খাতে ব্যাপক প্রসার হয়েছে। প্রায় ৭ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত। এসব ফ্রিল্যান্সারদের আরও বেশি কাজের যোগান দেওয়া গেলে বাংলাদেশের আইটি খাতের প্রসার যেমন হবে, নিয়োগকারী কোম্পানিও কম খরচে কর্মী পাবে।
এছাড়া বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অনেক কোম্পানি রয়েছে উল্লেখ করে রোমানিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিটুবি সম্পৃক্ততা জোরদারে কাজ করার আহ্বান জানান মো. জসিম উদ্দিন।
এ সময় এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।