চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গত কয়েকদিন থেকে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।যার প্রভাব পড়ছে রোজাদারসহ সর্বোপরি সকল জনসাধারণের উপর।দিনের অর্ধেকের বেশি সময় কাটাতে হচ্ছে লোডশেডিংয়ে।ক্ষোভে ক্ষিপ্ত হয়ে অনেকে বলছেন, সাতকানিয়ায় বিদ্যুৎ যায় না,মাঝে মাঝে আসে।
পবিত্র মাহে রমজানের শুরুর দিকে শীতের মৌসুম থাকায় অনেকটা আরামে ও স্বস্তিতে সময় পার করেছে রোজাদাররা।শীতের মৌসুম শেষ হয়ে গ্রীষ্মের আগমন ঘটতে না ঘটতেই এপ্রিলের শুরু থেকে যেমনি তাপমাত্রা বাড়ছে তার সাথে সমানতালে বাড়ছে লোডশেডিং।দিনের বেশিরভাগ সময় যাচ্ছে লোডশেডিংয়ে।এমনকি টানা একঘন্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে।এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সর্বসাধারণের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।তবে কেউ কেউ ঈদ ঘিরে বিভিন্ন দোকান মার্কেটে অতিরিক্ত আলোকসজ্জাকে দায়ী করলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বললেন উৎপাদন ক্ষমতার কথা।
ক্ষোভ জানিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, তারা সেহরি তৈরির সময়ে তো অন্তত ঠিকমতো বিদ্যুৎ দিতে পারে।সারাদিনের কথা বাদ দিলাম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরশাদ নামক এক সংবাদকর্মী লিখেছেন, বিভিন্ন মার্কেটের বাহিরে এবং ভেতরে অতিরিক্ত লাইটিং, দামী দামী দোকান ও অফিসে নিয়মিত এসি ব্যবহার,মিনি ফুটবল মাঠ (টার্ফ) এ লাইটিং এবং ব্যাটারীচালিত অটোরিকশায় চার্জ বিদ্যুৎ সংকটের অন্যতম একটি কারণ।এসব বিষয়ে নির্দিষ্ট একটা সিডিউল করে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে মনে হয় বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং কমে আসতো। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।
অন্যজন লিখেছেন, অন্যান্য সময় মোটামুটি থাকলেও ইফতার আর সেহেরি টাইমে সমস্যা আরো জটিল ধারন করে।আবার কেউ কেউ সামনে লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন।ক্ষোভ করে অনেকে বলছেন, সাতকানিয়ায় বিদ্যুৎ যায় না,মাঝে মাঝে আসে।
দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদসূত্রে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা এখন দিনে ১২ হাজার মেগাওয়াটের মতো। গ্রীষ্মকাল শুরু হলে এপ্রিলে তা বেড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়াতে পারে। জ্বালানির সরবরাহ না বাড়ালে তখন লোডশেডিং পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাতকানিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো: ইব্রাহিম বলেন, লোডশেডিং আছে।চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম তাই লোডশেডিং।তবে কখন লোডশেডিং কমে আসবে এমন প্রশ্নের জবাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।