শান্তিগঞ্জের দেখার হাওর সংলগ্ন আস্তমা,আসামপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী উথারিয়া বেরিবাঁধ সহ কয়েকটি বাঁধের নিকটবর্তী সুরমা নদী থেকে ড্রেসার মেশিন দিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ মাটি উত্তোলন বন্ধ করার প্রতিবাদে আস্তমা গ্রামবাসী সহ এলাকাবাসী রবিবার ৩০ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,দেখার হাওরের উথারিয়া বেরিবাঁধ শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর,ছাতক ও দোয়ারা বাজারব এই চার উপজেলার একমাত্র বোর ফসল রক্ষার জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ বেরিবাঁধ। উক্ত বেরিবাঁধের ভিতর থেকে বিশেষ করে ৫০৪৮ এবং ৫৩০৩ দাগ সহ আশপাশের কয়েকটি বাঁধের কাছ থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নিলে সবগুলো বাঁধ হুমকির মুখে পড়বে এবং আগাম বন্যা আসামাত্র বেরিবাঁধ দশে গিয়ে দেখার হাওর পাড়ের কৃষকের হাজার হাজার হেক্টর স্বপ্নের বোর ফসল পানিতে তলিয়ে যাবে। এই কারণে ৪ টি উপজেলার কৃষকের স্বপ্ন বোর ফসল রক্ষার স্বার্থে ড্রেজার ব্যবসায়ী কর্তৃক বাঁধের নিকটবর্তী নদী থেকে মাটি উত্তোলন বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে জোর দাবী জানান এলাকাবাসী। জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ জমাদানকালে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রাক্তন প্রভাষক চিত্ররঞ্জন তালুকদার,আস্তমা গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী মসুদ মিয়া, মাসুক মিয়া, তাজনুর,লিয়াকত আলী, আব্দুস শাহীদ, জিলিক মিয়া, জমিরুল হক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুক আহমেদ জয়কলস ইউনিয়নের ০১ ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিব, আস্তমা গ্রামের আজিমুল হক,সাজ্জাদ মিয়া, আংগুর মিয়া, আলিম উল্লাহ, জিল্লুল হক, ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আহমেদ সহ আস্তমা গ্রামের সর্বস্তরের জনগণ।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,বাঁধের কাছ থেকে কোনভাবেই ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করতে দেওয়া হবেনা। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে তদন্ত মোতাবেক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার উজ জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।