শান্তিগঞ্জের পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বাবনগাঁও গ্রাম সংলগ্ন গুইরাখাল ব্রীজের নিচের গুইরাল খাল শুকিয়ে মৎস্য নিধন করায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত গুইরাখাল ব্রীজ ও ব্রীজের এপ্রোচ। বৃহস্পতিবার সরেজিন ঐ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভাসান পানিতে মৎস্য আহরনের শর্তে ১৪২৮ বাংলা থেকে ১৪৩০ বাংলা সনের জন্য ইজারা নেয় বাবনগাঁও সোনালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। কিন্তু ইজারাদাররা ভাসান পানিতে মৎস্য আহরনের শর্ত ভঙ্গ করে সরকারের নীতিমালা বিরোধী কাজ করে পানির পাম্প লাগিয়ে খাল শুকিয়ে মৎস্য নিধন করছে অনায়াসে। এতে করে পূর্ব বীরগাঁও ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের উমেদ।নগর,সলফ,বীরগাঁও,বাবনগাঁও,হাঁসকুড়ি,ধলমৈশা,উপ্তিরপাড়,কাউয়াজুরী সহ দিরাই থানার নগদীপুর,দৌলতপুর,কামরিবীজ,জগদল সহ দক্ষিণ এলাকার একমাত্র চলাচলের রাস্তার মাঝখানে বাবনগাঁও সংলগ্ন নব নির্মিত গুইরাখাল ব্রীজের এপ্রোচ সহ পিলারের নিচের মাটি ধ্বসে বড় বড় ফাটর ও গর্ত হওয়ায় ব্রীজটি পড়েছে হুমকির মুখে। যেকোন সময় ব্রীজটি ধ্বসে গিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতিসাধন সহ এলাকাবাসী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বীরগাঁও এলাকার অনেকেই বলেন, কিছু প্রভাবশালী লোক প্রতি বছর এই ব্রীজের নিচটি লিজ এনে ভাসা পানিতে মৎস্য আহরণ না করে শুকিয়ে মৎস্য নিধন করার ফলে ব্রীজের চতুর্র্দিকের মাটি ধ্বসে গিয়ে ব্রীজটি হুমকির মুখে পড়েছে। পূর্বে আরেকবার এই জায়গায় ব্রীজ ছিল,গুইরাখাল শুকিয়ে খাওয়ার কারণে পূর্বের ব্রীজটিও ধ্বসে গিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর এলাকাবাসীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। সঠিক তদন্ত মোতাবেক সরকারী নীতিমালা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে গুইরাখালের ইজারাদার বাবনগাঁও সোনালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি লিকুল হকের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সকিনা আক্তার জানান,খবর পেয়ে তহসিলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত মোতাবেক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
