সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালী কর্তৃক নিরীহ পরিবারের নির্মাণাধীন পাকাঘর দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রেনু বেগমের বসত বাড়ীতে।
পারিবারিক ও আদালতে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, টাইলা গ্রামের হতদরিদ্র অসহায় নিরীহ মহিলা রেনুকা বেগম ও তাহার স্বামী আনোয়ার হোসেন একই গ্রামের আবারক আলী ও ফজল উল্লাহর কাছ থেকে দলিল মূলে ক্রয় করে বসত ঘর নিমার্ণ করে উপরের লিন্টার পর্যন্ত কাজ করান। আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য আর কাজ করাতে পারেন নি। সেই সুযোগে প্রভাবশালী আবারক আলী উক্ত ঘর দখলের জন্য বিভিন্ন রকমের পায়তারা করলে রেনুকা বেগম আবারক আলীর বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দক্ষিণ সুনামগঞ্জ আদালতে বিবিধ মোকদ্দমা নং ৯/২০২১ দায়ের করেন।
এই মোকদ্দমার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আবারক আলীকে উক্ত বসতঘরে যাওয়া থেকে বারিত করেন। আবারক আলীর মৃত্যবরেনর পর তাহার ছেলে প্রবাস থেকে দেশে এসে পুণরায় ঘর দখল করে পূর্ণ বসতঘর নিমার্ণের পায়তারা করে। তখন রেনুকা বেগম আবারক আলীর ছেলে রয়েল মিয়া ও সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বিবিধ মোকদ্দমা নং-৫৩৯/২০২১ দায়ের করেন। আদালত উক্ত বসত ঘরে যাওয়া থেকে রয়েল মিয়া ও সোহেল মিয়াকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। রয়েল মিয়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক রেনুকা বেগমের নির্মাণাধীন বসত ঘরটি পূর্ণ নিমার্ণ শুরু করে, খবর পেয়ে রেনুকা বেগম ও তাহার স্বামী গ্রামে গেলে রয়েল মিয়া তাহাদেরকে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মারার ভয় ও হুমকি দামকী দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এই বিষয়ে কয়েকবার বিচার সালিশ হলেও কর্ণপাত করেননি রয়েল মিয়া ও সুহেল মিয়া। তাদের ভয়ে রেনুকা বেগম নিজ গ্রাম নিজ বসতভিটা ছেড়ে উপজেলার জামলাবাজ গ্রামে পরের বাড়ীতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এ বিষয়ে রেনুকা বেগম জানান, আমি অসহায় মহিলা কোন ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই আমার একমাত্র সম্বল বসতভিটাটুকু প্রভাবশালীরা জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে আমি প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ দেশবাসীর কাছে আমার বসতভিটাটি উদ্ধারের জন্য আকূল আবেদন জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রয়েল মিয়া জানান, আমার আগেই ঘর করা ছিল, সে ঘর আমি করছি।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন জানান, অভিযোগের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।