ঢাকা, সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শান্তিগঞ্জে কবরস্থানের মাটি কেটে নিয়ে বেরিবাঁধে নির্মাণ

কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সুনামগঞ্জ | প্রকাশের সময় : শনিবার ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০৯:০৪:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

 

 
 
 
সুনামগঞ্জের   শান্তিগঞ্জে কবরস্থানের মাটি কেটে নিয়ে ফসল রক্ষা বাঁধে মাটি ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের পুরান কান্দিগাঁও ও শ্যামনগর গ্রামের পঞ্চায়েতি কবরস্থানে। এ ব্যাপারে বিগত ১লা ফেব্রুয়ারী পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড শ্যামনগর গ্রামের ইউপি সদস্য এমরান হোসেন সহ শ্যামনগর ও কান্দিগাঁও গ্রামের ১০ জন বাদী হয়ে পাথারিয়া ইউনিয়নের পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের রশিদ উল্লাহর ছেলে তারিফ উল্লা এবং একই গ্রামের আলীর ছেলে আরজ আলীর বিরুদ্ধে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,শ্যামনগর ও পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের পশ্চিমে চালিয়ারনির হাওর সংলগ্ন কান্দিগাঁও মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের ২১৯৯ দাগে ৬ একর ১০ শতক জায়গায় উভয় গ্রামবাসীর কবরস্থান রয়েছে। উক্ত কবর স্থানের জায়গা থেকে গ্রামবাসীকে না জানিয়ে খাই হাওরের ৪২ নং পিআইসি কমিটির কাছে মাটি বিক্রি করে দেন তারিফ উল্লাহ ও আরজ আলী। তাৎক্ষণিকভাবে গ্রামবাসীর বাঁধাকে উপেক্ষা করে পিআইসি কমিটি লোকজন এসকেভেটর ও ড্রাম ট্রাক লাগিয়ে প্রায় গভীর গর্ত করে প্রায় ৬০ শতক জায়গা থেকে লক্ষাধিক পরিমান মাটি কেটে বেরিবাঁধে নিয়ে যান। শনিবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে ইউপি সদস্য এমরান হোসেন,শ্যামনগর গ্রামের সাবেক মেম্বার ইকবাল হোসেন,শ্যামনগর গ্রামের আলাল হোসেন,আব্দুল হামিদ,সেনু মিয়া,মাসুক মিয়া,পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের জিয়াউর রহমান, ছুয়াব আলী,কাচা মিয়া সহ অনেকেই জানান,এই কবরস্থানটিতে শ্যামনগর,কান্দিগাঁও সহ আশপাশের লোকজন মারা গেলে এখানে এনে কবর দেওয়া হয়। এই কবরস্থানের মাটি বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে পুরান কান্দিগাঁও গ্রামের তারিফ উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমি গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে বেরিবাঁধে মাটি দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ৪২ নং পিআইসির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, কবরস্থানের মাটি বলে আমি জানিনা,তারিফ উল্লা নিজের জায়গার মাটি বলে আমাদেরকে কেটে নেওয়ার জন্য বলেছেন।
 
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সকিনা আক্তার বলেন,অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের তহসিলদারকে পাঠিয়েছি সরেজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার উজ জামান জানান,তদন্ত মোতাবেক জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।