পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৪বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচী পালন করেছে লংগদু উপজেলা সেনা জোন। এসব কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো সকালে শান্তির র্যালী, শান্তি মেলা আয়োজন, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, পুরস্কার বিতরণ ও বিকালে বৈচিত্র বিলাশ পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন।
বৃহষ্পতিবার(২ডিসেম্বর), উপজেলার মাইনীমুখ ফরেষ্ট অফিস এলাকা থেকে এক শান্তি র্যালী শুরু হয়ে জোনের একনং গেইটে গিয়ে শেষ হয়। এসময় জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ তাকবির আব্দুলাহ পিএসসি পায়রা উড়িয়ে বৈচিত্র বিলাসে শান্তির মেলা উদ্বোধন করেন।
এরপর লংগদু সরকারী মডেল কলেজে আয়োজীত শান্তিচুক্তির ২৪বষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ তাকবির আব্দুল্লাহ পিএসসি বলেন, শান্তি চুক্তি একটি চলমান প্রক্রীয়া। বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জনগোষ্ঠির উন্নয়ন ও দীর্ঘদিনের সংঘাত, হিংসা হানাহানি অবসান করে শান্তির সুবাতাস ফেরার জন্য ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি করেছিল। এই চুক্তির ফলে অশান্ত পাহাড়ে শান্তির বাতাস বইতে শুরু করে। এর ফলে ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তিনি বলেন, লংগদু উপজেলায় কয়েকটি সেতু, মাইনীমুখ থেকে কালাপাকুজ্জা রাস্তা, জারুল বাগান থেকে মাইনীবাজার লঞ্চঘাট সেতু নির্মাণ ইতিমধ্যে অনুমোধন হয়ে গেছে। এছাড়া নানিয়ারচর থেকে লংগদু রাস্তার কাজ শেষ হলে অচিরেই এই উপজেলার আমূল পাল্টে যাবে। যদি এলাকায় শান্তি বজায় থাকে তাহলে সবধরণের উন্নয়ন সম্ভব। পার্বত্যাঞ্চলে যারা এখনও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে তারা উন্নয়ন চায়না। সন্ত্রাসী সে যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি উন্নয়নের স্বার্থে এলাকায় শান্তি ও সম্প্রদায়ী সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
এসময় অতিথি হিসেবে লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাইনুল আবেদীন, লংগদু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ আরিফুল আমিন, লংগদু প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ এখলাস মিঞা খান, আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা, খেদারমারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিশ্বপ্রিয় চাকমা সহ শহীদ মিয়া ও চম্পা চাকমা (প্রমুখ) বক্তব্য রাখেন।