সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সমর্থকদের মারামারিতে একজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গেইটে শাবি ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান ও সুমন মিয়া গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে বলে জানান হলটির প্রভোস্ট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান।
আহত আব্দুর রব নাঈম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওগ্রাফী এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী; সে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমানের সমর্থক।
এ ঘটনায় নাঈমের মাথায় আঘাত লেগেছে। বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঘটনায় বর্ণনায় প্রভোস্ট বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শবর্তী এলাকা নয়াবাজারে একটি দোকানে দুই ছাত্রের একে অপরের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়। পরবর্তীতে হলের গেইটে তারা আবার মারামারিতে জড়ায়। ঘটনা শুনে প্রভোস্ট বডি সেখানে যায়। এরপর বিষয়টি মীমাংসা করা হয় এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
আহত নাঈমের মাথায় আঘাত লেগেছে; তাকে হল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে প্রভোস্ট মনিরুজ্জামান জানান।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শবর্তী এলাকা নয়াবাজারে চায়ের দোকানের চেয়ারে নাঈম 'পায়ের উপর পা তুলে' বসায় সুমনের সমর্থক রিশাদ ঠাকুর পা নামানোর কথা বলেন।
এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে।
পরে বেলা সাড়ে ১১টায় সুমনের সমর্থক ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী মো. রিশাদ ঠাকুর, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ রানা ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী ইউসুফ আহমেদ টিটুসহ গ্রপের অন্য সমর্থকরা ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে নাঈমকে স্টাম্প দিয়ে মাথায় আঘাত করে সুমনের সমর্থকরা। এতে তার মাথা ফেটে যায়। তাৎক্ষণিকভাবেতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আব্দুর রব নাঈম বলেন, 'আমি হাসাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি ।' তবে ঘটনার ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি।
এ বিষয়ে সুমনের সমর্থক ইফতেখার আহমেদ রানা বলেন, 'জুনিয়ররা মারামারিতে জড়িয়েছিল। আমি দুই গ্রুপের নেতাদেরকে ডেকে মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।'
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান বলেন, ''জুনিয়রদের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝি থেকে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয় তারপর খবর পেয়ে আমরা গিয়ে বিষয়টা সমাধান করে দিয়েছি।''
একই কথা ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের নেতা সুমন মিয়ার।