ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শাহজাহানপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে একই বাড়িতে দুই দফা আগুন, দগ্ধ ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২:২৯:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

রাজধানীর শাহজাহানপুরে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে এক বাড়িতেই দুইবার আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে প্রথম আগুন লাগার পর লাইন ঠিক করতে গেলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবারও আগুন লাগে সেখানে। এতে দুই দফায় বাড়ির বাসিন্দা, প্রতিবেশী ও মিস্ত্রীসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

 

শাহজাহানপুরের ঝিল মসজিদ এলাকায় মোহনা টেইলার্স গলির ৫৩ নম্বর ৫ তলা বাড়ির নিচতলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে বাবা-মেয়েসহ ৬ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি একজনকে নেওয়া হয়েছে ইসলামিয়া হাসপাতালে।

 

এর মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তিদের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসাটির বাসিন্দা মিন্টু হাওলাদার (৪০), তার মেয়ে মারিয়া ইশরাত (১৯), প্রতিবেশী আলী আকবর (৩৫), বাচ্চু মিয়া (৪৫) এবং সেনেটারি মিস্ত্রি মনির হোসেন (৪১) ও দেলোয়ার হোসেন (৫৭)।

 

বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগুনে মিন্টু হাওলাদারের শরীরের ৪০ শতাংশ ও তার মেয়ে মারিয়ার ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকিদের তেমন একটা ক্ষতি হয়নি।

 

দগ্ধ মিন্টু হাওলাদার জানান, বাড়ির নিচতলায় তাদের ভাড়া বাসায় বাথরুমে ও রান্নাঘরে মাঝেমধ্যেই গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যেত। তবে কোন জায়গা থেকে লিকেজ হয়ে গ্যাস বের হতো তা খুঁজে পাননি তিনি। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায় রান্নাঘরে। এতে তিনি ও তার প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া দগ্ধ হন।

 

মিন্টুর স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার জানান, সকালেই মিন্টু ও বাচ্চুকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। পরে সন্ধ্যায় লিকেজ হওয়া গ্যাসের লাইন মেরামতের জন্য ওই বাসায় যান সেনেটারি মিস্ত্রি। মেরামতকালে সেখানে আবারও আগুন লাগে। এতে অন্যদের সঙ্গে দগ্ধ হয় মিন্টু ও ঝর্ণার মেয়ে মারিয়াও। পরে তাদেরকেও বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

 

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজিত কুমার সাহা জানান, শাহজাহানপুর ঝিল মসজিদের পাশে ৫৩ নাম্বার বাড়ির নিচ তলায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে কাজ করছে পুলিশ।