মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত 'লিটন চৌধুরী সেতু' উদ্বোধন করেছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি। শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে সেতুটি তিনি উদ্বোধনী করা হয়েছে। সেতুটি শিবচর উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন তিনটি ইউনিয়নের সাথে সরাসরি সড়কে যোগাযোগের পথ তৈরি হলো। এই এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন ধরেই উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেনি। এখন এ ভোগান্তি দূর হলো যুগ যুগের!
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল, নিলখী ও দত্তপাড়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার লক্ষাধিক মানুষের যুগ যুগ ধরে ভোগান্তির থাকা এর অবসান হচ্ছে শেষে পর্যন্ত। উপজেলা সদরে মাত্র ১৫ মিনিটেই পৌঁছানো যাবে এই সেতু দিয়ে। এর ফলে এলাকার নদী পাড়ের মানুষের ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯৭ কোটির ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫ শত ৫০ মিটার প্রস্থ, ৯.৮০ মিটার, ব্রিজের ক্যারিজওয়ে ৭.৩০ মিটার, ফুটপাত ১.২৫ মিটার। স্প্যান রয়েছে ১১ টি, গার্ডারের সংখ্যা ৪৪ টি, সেতুটির উচ্চতা ২.৪০ মিটার, লাইট পোস্ট রয়েছে ৪৬ টি। এর অ্যাপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য ৬১০ মিটার।
সেতুটির নির্মাণ কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মো. মইন উদ্দীন বাঁশি ও হা-মিম ইন্টারন্যাশনাল।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটির ফলে শিবচর যেতে-আসতে এই এলাকার মানুষের ভোগান্তির অবসান হচ্ছে। মাত্র ১৫ মিনিটেই উপজেলা সদরে পৌঁছানো যাবে এখন।
মো. রাজ্জাক নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও আমরা দ্রুত শিবচর যেতে পারতাম না। নদী পাড় হতে গিয়ে ট্রলার সঠিক সময় মতো পাওয়া যেতো না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শিবচরে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছি। সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে এই ভোগান্তি দূর হচ্ছে। এই সেতু আমাদের জন্য আশীর্বাদ!
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী তার নামেই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘লিটন চৌধুরী সেতু’।