শেরপুরে চলতি বোরো ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি আকাশ ছোঁয়া হওয়ায় সাধারণ কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষকের জমির ধান পেকে সোনালী বর্ণ হয়ে পড়লেও শ্রমিকের অতিরিক্ত মূল্যে মজুরি দিয়ে ধান কটতে পারছে না। তার জমিতেই তাদের ধান ফেলে রেখেছে। কারণ যে মজুরি দিয়ে ধান কাটবে, কৃষকরা ওই জমির ধান বিক্রি করেও ওই টাকা তুলতে পারবে না। এমতাবস্তায় শেরপুর পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী গেন্দাকুল নিজ উদ্যোগে স্থানীয় যুবক, তরুন ও ছাত্র সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে সেচ্ছাশ্রমে এলাকার ৫ জন কৃষকের প্রায় ১০ কাঠা জমির ধান কেটে দিয়েছেন। এতে ওইসব জমির কৃষকরা বেশ স্বস্তি প্রকাশ করেছে। এদিকে সেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার বিষয়ে এলাকার অনেক যুবক অন্যান্য কৃষকের ধান কেটে দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
কৃষকরা জানায়, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে চিন্তিত ছিলাম কীভাবে জমির পাকা ধান তুলে আনবো। আমাদের এই সমস্যার কথা শুনে আমাদের কাউন্সিলর এলাকার বেকার যুবক ও শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে একেবারেই সেচ্ছাশ্রমে তাদের দিয়ে আমাদের ক্ষেতের ধান কেটে দিলেন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী বলেন, এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের হতাশার হাত থেকে বাঁচাতে আমি উদ্যোগ নিয়ে এলাকার তরুন সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে সেচ্ছা শ্রমে ধানগুলো কেটে দিয়েছি। এতে কৃষকরা উপকৃত হয়েছে।
কৃষক খালেক, শহিদ, হেলালসহ অন্যরা জানান, ধান গুলো কেটে না দিলে বাড়ি পর্যন্ত হয়তো আনতেই পারতাম না। কারন, সবগুলো ধান বিক্রি করেও শ্রমিকের মজুরি হতো না।
এদিকে শহরের প্রান্তিক কৃষকের বিনা মূল্যে ধান কাটার খবরে আশপাশের তরুন সমাজ ও বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনও এই সেচ্ছা শ্রমের কাজে উদ্যোগি হবেন বলে শহরের সচেতন মহল মনে করছেন।
