ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ইসিতে আপিল শুনানি

শেষ দিনে প্রার্থিতা বহাল ও বাতিল হলো যাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:৫৯:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা প্রার্থীদের আপিলের শুনানি শেষ দিন ছিল আজ।

 

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) শুরু হয় পঞ্চম ও শেষ দিনের মতো আপিলের শুনানি। প্রার্থিতা ফিরে পেতে সকাল থেকেই সমর্থকদের নিয়ে ইসিতে হাজির হন প্রার্থীরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে শুরু হয় এই শুনানি। এতে অন্য চার কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন।

 

ফরিদপুর-৩

 

ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের প্রার্থিতা বহাল রাখা হয়। আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

 

হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক। তবে তার আগে শামীমের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন আজাদ।

 

এ কে আজাদ দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা।

 

বরিশাল-৪

 

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল রাখা হয়েছে।

 

বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ, উভয় দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ নাথ।

 

আর শাম্মী আহম্মেদ পংকজ নাথের বিরুদ্ধে হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনেন। পরে শাম্মী আহম্মেদের অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে।

 

বরিশাল-৫

 

বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

 

বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিমের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য সাবেক বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

 

আপিলে জাহিদ ফারুক ও তার স্ত্রী-সন্তান আমেরিকার নাগরিক এবং সেখানে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। হলফনামায় আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী-সন্তানের সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগও করেন সাদিক আব্দুল্লাহ।

 

অন্যদিকে, সাদিক আব্দুল্লাহর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন জাহিদ ফারুক।