ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

শেষ হলো সুলতান মেলা, পদক পেলেন চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর

ফরহাদ খান, নড়াইল | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২০ জানুয়ারী ২০২৩ ০৮:১৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 

১৪দিনব্যাপী সুলতান মেলা শেষ হয়েছে। বরেণ্য চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর তালুকদারকে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘সুলতান স্বর্ণ পদক’ প্রদানের মধ্য দিয়ে মেলা শেষ হয়েছে।  

জেলা  প্রশাসক ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-চিত্রশিল্পী শহীদ কবীর তালুকদার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দোলন মিয়া,  বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক মাহবুবা করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু, নাট্যব্যক্তিত্ব কচি খন্দকারসহ অনেকে। সঞ্চালনা করেন জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু ও আসাদ রহমান।  

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৮তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গত ৭ জানুয়ারি সুলতান মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ। জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মেলায় দেশি-বিদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে চিত্রপ্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, লাঠিখেলা, হাঁড়িভাঙ্গা, কলাগাছে ওঠা, ঘোড়ার গাড়ির দৌড়, ষাঁড়ের লড়াইসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। ৯২টি স্টলে বেচাকেনা জমে উঠে।

এদিকে, সুলতান পদক প্রাপ্ত চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর তালুকদার ১৯৬৯ সালে তৎকালীন ঢাকা গর্ভমেন্ট কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফট্স থেকে বিএফএ সম্পন্ন করেন। একই প্রতিষ্ঠানে ১৯৭৩ সালে শিক্ষকতা শুরু করে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ফ্রিল্যান্স শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন। এ পর্যন্ত তিনি দেশ-বিদেশে ১৩টি একক চিত্রপ্রদর্শনী ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যৌথ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি দেশ-বিদেশে সাতটি পুরষ্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।

অন্যদিকে একুশে ও স্বাধীনতা পদকসহ একাধিক সম্মাননায় ভূষিত বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। শোকাবহ আগস্ট এবং বর্ষার প্রভাব থাকায় প্রতিবছর শীত মওসুমে সুলতান  মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে করোনার কারণে দুই বছর পর এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এস এম সুলতান ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর অসুস্থ অবস্থায় যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। সুলতানের বাসভবন চত্বরে তাকে দাফন করা হয়। #