ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শৈলকুপায় জোড়া খুন: ৪ জনের যাবজ্জীবন, ১১ জনের জেল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই ২০২২ ০৬:১৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আলোচিত জোড়া হত্যা মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই মামলায় আরও ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন এ দণ্ডাদেশ দেন।

 যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, কোবাদ হোসেন ওরফে কোবা মোল্লা, রইচ উদ্দিন ও বাচ্চু মিয়া।  

বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-লিক্সন হোসেন, জিকু মিয়া, কলম হোসেন, আবুল বাশাল ওরফে দরপন, রবিউল ইসলাম রবি, আলম মিয়া, হাবিবুল ইসলাম, ইকমাল মিয়া, মতি, তরুণ মোল্লা, সাচ্চু হোসেন, মওলা, হুমায়ন, মারুফ হোসেন ও শাহিনুর ওরফে আগা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল শৈলকুপা উপজেলার বৃত্তিদেবী রাজনগর গ্রামে হালখাতার চিঠি দেওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে ওই গ্রামের কফিল উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ওই সময় ঠেকাতে গেলে একই গ্রামের আজিম মুন্সীকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কপিল উদ্দিন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আজিম মারা যান।

এ ঘটনায় কপিল উদ্দিনের ভাগ্নে হাবিবুর রহমান ১৭ জনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৮ জুলাই পুলিশ ১৭ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বাদী নারাজি পিটিশন দিলে জুডিসিয়াল তদন্ত শেষে আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, কোবা মোল্লা, রইচ ও বাচ্চুকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই মামলায় আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়। দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে খালাস দেয় আদালত। মামলায় এক আসামী মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

রাষ্টপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরক্তি পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক। আসামিপক্ষে ছিলেন শামসুজ্জামান লাকী, রাশিদুল হাসান জাহাঙ্গীর ও এ এইচ এম খায়রুলজ্জামান।

রাষ্টপক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক জানান, আজ দীর্ঘ সময় পর, শৈলকুপার আলোচিত জোড়া খুনের মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। আদালতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ, দীর্ঘদিন পর হলেও আমরা সঠিক বিচার পেয়েছি।