বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেকোনো সংস্কার, পরিবর্তন জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। পরিবর্তনের জন্য দরকার পার্লামেন্ট, সে জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
নির্বাচনের মাধ্যমে যারা পার্লামেন্টে যাবেন তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন কি পরিবর্তন দরকার, কোন পরিবর্তন দরকার, সংবিধান বাতিল হবে না কি সংস্কার।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট: উচ্চকক্ষের গঠন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
ফখরুল বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। আমাদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিজয়ের মাধ্যমে আসা স্বপ্নগুলো নস্যাৎ করতে ইতোমধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমি বিস্মিত হয়ে যাই, সমাজের শিক্ষিত লোকেরা, যাদের সমাজে গুরুত্ব আছে, তারা গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক কথা বলেন। যারা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে আছেন, তারা যখন বলেন, ‘দল তৈরি করতে হবে’ এটা বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। এ অধিকার তাদেরকে কে দিয়েছে, অনুমতি কে দিয়েছে, এ দায়িত্ব পেলেন কোথায়? তাহলে কী করে আমরা বা জনগণ ভাববে তারা (অন্তর্বর্তী সরকারের যারা দায়িত্বে আছেন) নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করছেন।
একটি গোষ্ঠী এ সরকারকে দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তাহলে তো নির্বাচন, পার্লামেন্টের দরকার নাই। এ সময় একটি গণমাধ্যমে জরিপ প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পত্রিকাটি লিখেছে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ চায় , যতদিন খুশি এই সরকার থাকুক। ’ আমি জানি না, এই কথাগুলো তারা কোথায় থেকে পেলো? জনগণ এটা তো মেনে নেবে না। এই ধরনের রিপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে ভাবা উচিত, কোনো ধরনের বিভ্রান্ত সৃষ্টি না হয় সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে।
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা ও বানোয়াট-হয়রানিমূলক মামলা আছে সেগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনে যারা পঙ্গু, শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদেরকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আন্দোলনের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বৈরাচার সরকারকে যারা মদদ দিয়েছেন আমরা এখনো সেই প্রশাসনে তাদেরকেই দেখতে পাচ্ছি, তাদের সরানো হয়নি। এ ধরনের লোককে সরিয়ে ফেলার দাবি করেন মির্জা ফখরুল।