বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটি কখনো থেমে থাকে না। শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, ততটুকু করে নির্বাচন দেয়া উচিত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঢাকা বিভাগের বিএনপির নেতাদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই সরকারকে উপলব্ধি করতে হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশকীয় দরকার সেই সংস্কারগুলো করে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। এটা আমার কথা নয়, একজন রিকশাচালক, দিনমজুর, গৃহশ্রমিক, নারী শ্রমিককে জিজ্ঞেস করুন। এই তরুণ সমাজকে জিজ্ঞেস করুন যারা বিপ্লব এনেছে তারা কি ভোটার হয়ে একবারও ভোট দিতে পেরেছে? পারে নাই। তাই ভোটের অধিকার ১২ কোটি ভোটারের মাঝে ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সত্যিকার জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে একটি সংসদ গঠন করবে। সেই সংসদ একটি সরকার গঠন করবে। ইনশাআল্লাহ জনগণ যদি আমাদের ভোট দেয়, আমরা জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জনগণের কল্যাণে এই ৩১ দফা সংস্কার আমরা করব।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের রূপরেখা দুই বছর আগেই ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছেন তারা আগের আন্দোলন সংগ্রামে সময় কোথায় ছিলেন এমন প্রশ্ন তোলেন মঈন খান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কর্তৃত্ব একক কোন দলের নয় এ বিপ্লবে সবার সমর্থন ছিল।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুলের সভাপতিত্বে কর্মশালা সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেন।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে