কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, সঠিক সময়ে নির্বাচন না দিলে গণতন্ত্র ধরে রাখা যাবে না। দিনের ভোট রাতে ডাকাতির মাধ্যমে নিয়ে দেশে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধংস করে দেওয়া হয়েছে। এইবার আর কোন রাতে ভোট হবে না। দিনের ভোট দিনেই হবে। একজনে একশ, দুইশ করে ভোট দেওয়ার আর সুযোগ নেই। আমলাদের মাধ্যমে আর কোন এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার নির্বাচিত হওয়ারও সুযোগ নেই।
তিনি বলেছেন, বিগত হাসিনা সরকার দেশের গণতন্ত্রকে শেষ করে দিয়েছে। দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাঁচার করেছে আওয়ামীলীগের দুর্নীতিবাজ নেতারা।
শনিবার বিকাল তিনটায় কোটবাজার উত্তর স্টেশনে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখার সভাপতি জামাল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী আরো বলেছেন, পরিকল্পিত ভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধংস করা হয়েছে। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে আমরা নতুন দেশ পেয়েছি। দেশের এই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে হবে আমাদের। যেখানে অন্যায়, দুুর্নীতি হবে সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। দলের যত বড় নেতা হোক না কেনো দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি করে দেন। বেগম খালেদা জিয়ার অনুরোধে ড: ইউনুসের দেওয়া উপহার ভিজিডি কার্ড থেকে কোন জনপ্রতিনিধি যদি টাকা নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায় তাহলে ঐ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, জনগণের মাঝে তারেক রহমানের দেশ সংস্কারের ৩১ দফা পৌছে দিতে হবে। বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করবে।
তিনি আরো বলেছেন, ড: ইউনুসের সরকারকে কোন ভাবে ব্যর্থ হওয়া যেতে দেওয়া যাবে না।
উখিয়া-টেকনাফে যদি সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হয় তাহলে ষড়যন্ত্র কারীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।
কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন, উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোলতান মাহমুদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি দলিলুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ চৌধুরী রাজিব, জিএম ইদ্রিস মিয়া, কৃষক দলের সভাপতি মনির আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন হলদিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল আলম।
বায়ান্ন/এসএ