ঢাকা, সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে তৌহিদী জনতার মানববন্ধন

শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, সাতক্ষীরা | প্রকাশের সময় : রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:০৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

সাদপন্থীদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা উলামা পরিষদ এবং সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার উদ্যাগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।

উলামা পরিষদ সাতক্ষীরা সদর থানা শাখার সভাপতি মুফতি সাইফুল্লাহ রহমানির সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন, জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক, তাবলীগের শুরায়ী নিজামীর সাথী ও মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মহসিন, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আসলাম হুসাইন, সাতক্ষীরা জজকার্ট মসজিদর ইমাম মাওলানা আব্দুল্লাহ, তাবলীগের শুরায়ী নিজামর সাথী মুস্তাকুর রহমান দারা, শুরায়ী নিজামর সাথী মাওলানা মোখলেসুর রহমান, শিক্ষক মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম হাবিবী, সাতক্ষীরা মারকাজের সাবেক জেলা আমির ও বর্তমান ফয়সাল প্রফেসর হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা থানা মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল্লাহ, শিক্ষক মাওলানা মাহমুদুল হাসানসহ ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ও তাবলীগ জামাতের শুরায়ী নিজামর নেতৃবৃন্দ। 

বক্তারা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, যেখানে সন্ত্রাসীদের কোন স্থান নেই। কিন্তু সাদপন্থীরা ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে ধর্মের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করেছে। সম্প্রতি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতমায় সাদপন্থীদের নৃশংস হামলায় চারজন নিহত এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। আমরা এই বর্বরতার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, এটা কোন নতুন ঘটনা নয়। ২০১৮ সালও সাদপন্থীরা ইজতমার ময়দানে নারকীয় তান্ডব চালিয়ছিল। হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি, বয়াবদ্ধ মুরুবি এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর নির্মম আক্রমণ চালিয়ে তারা ইজতমা ময়দানকে রক্তাক্ত করেছিল। এসব কর্মকান্ড ইসলাম এবং তাবলীগের প্রকৃত বার্তার সম্পূর্ণ বিপরীত।

মানববন্ধন দাবি করা হয়, সাবেক সরকারের মদদপুষ্ট এই গোষ্ঠী এখনো বিচারোর বাইরে। তাদের এ ধরনের কর্মকান্ড দেশের শান্তি প্রিয় মুসলমানদের জন্য হুমকি স্বরুপ এবং তাবলীগের সুনামকে ক্ষুন্ন করেছে। 

বক্তারা সরকারের কাছে সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের বিচারের আওতায় আনার আহান জানান। 

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যম সরকার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে বাংলার মাটিতে সাদপন্থীদের উগ্রপন্থী কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহান জানানো হয়।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে