ঢাকা, রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮শে পৌষ ১৪৩১

সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় ৪৭ লাখ টাকার কালভার্টে: চরম ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসীর

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৫ নভেম্বর ২০২৩ ০২:৫৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মালিবাড়ী খালের ওপর ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৮১৯ টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট নির্মাণ হয়। কালভার্ট নির্মাণ হলেও দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক নির্মিত হয়নি। এ কারণে কালভার্টে  সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে হয়। এতে শিক্ষার্থীসহ ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। চলাচল না করতে পারায় কোনো কাজেই আসছে না কালভার্টি।

এলাকাবাসী বলেন, তিন বছর হয়ে গেছে কালভার্ট করা হয়েছে অথচ সংযোগ সড়ক নেই। কাঠের সিঁড়ি দিয়ে বেয়ে উঠতে হয়। এ কালভার্ট নির্মাণের পর জনগণের দুর্ভোগ আরও চরমে ওঠে। খাল পার হওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে কালভার্ট দিয়ে চলতে বাধ্য হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কালভার্টের পূর্ব পাশে মাটির কাঁচা রাস্তা। এ কালভার্ট দিয়েই প্রতিদিন স্থানীয় শিশু শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ যাতায়াত করে। অথচ বাইসাইকেল নিয়ে ওঠা যায় না কালভার্টিতে। কালভার্টি নির্মাণ করা হয়েছে, সেই সঙ্গে করা হয়নি কোনো সংযোগ সড়ক। উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে নন- মিউনিসিপাল প্রকল্পের আওতায় সেরাজ ইলেক্ট্রিশিয়ানের বাড়ির সামনে বক্স কালভার্ট নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে উপজেলা এলজিইডি।  এতে ৪৭ লাখ ৭২ হাজার  ৮১৯ টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় পটুয়াখালীর মেসার্স লিংক ট্রেডার্স। কিন্তু তিন বছরের অধিক সময় পার হলেও সেরাজ ইলেক্ট্রিশিয়ানের বাড়ির সামনে কালভার্ট নির্মিত হলেও দেয়া হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে কাজে আসছে না ব্যয়বহুল এ কালভার্ট।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিংক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. নিপুণ বলেন, আসলে এপ্রোচের কাজটা আমার ভিতরে ছিল না, ওটা যারা পরবর্তীতে রাস্তা নির্মাণ করবে তারা করে নিবে। আমি আমার কাজ করে হস্তান্তর করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো.আলমগীর বাদশাহ  জানান, রাস্তার কাজের ঠিকাদারকে বলে দিয়েছি হয়তো খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করবে। কালভার্টের  পশ্চিমপাশে পানি থাকার কারণে কাজ শুরু করতে পারছেনা।