৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা। জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কলের মাধ্যমে রাস্তায় এক কিশোরী (১৫) অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকার খবর পায় বিমানবন্দর থানাপুলিশ।
পুলিশ গিয়ে দেখতে পায়, সেই কিশোরী মানসিক ভারসাম্যহীন এবং অন্তঃসত্ত্বা। তাকে উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেই কিশোরীই বুধবার রাত ১১টার দিকে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহা. মায়নুল জাকির জানান, তাঁর থানাধীন ধোপাগুল এলাকায় অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃসত্ত্বা শাহেদা নামের ওই কিশোরী। ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল পেয়ে বিমানবন্দর থানাপুলিশ তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চার দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বুধবার রাত ১১টার দিকে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছে সে। সমাজসেবা কার্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে মা-শিশুর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি জানান, মেয়েটির বয়স ১৫ বছর হবে। সে শুধু তার বাড়ি বরগুনা জেলা এবং নাম শাহেদা, এটা বলতে পারে। তার কাছ থেকে জেনে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মেয়েটির ছবি পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। পরিবারের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধোপাগুলের স্থানীয় কয়েকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, মেয়েটিকে ধোপাগুল এলাকায় ১০-১৫ দিন থেকে দেখা গেছে। এর আগে সে কোথায় ছিল এবং এখানে কীভাবে এসেছে, সেটা জানা যায়নি।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মা এবং শিশু দুজনই সুস্থ আছে। নবজাতকটি মায়ের বুকের দুধও খাচ্ছে। ওই কিশোরীর শারীরিক কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।