ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুডাইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামের লোকজনের কাছে বন্দী বিলুপ্ত প্রায় একটি বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। চিকিৎসার পর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ফলিয়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার একটি বাগান থেকে কিছুটা অসুস্থ অবস্থায় ওই গন্ধগোকুলটি উদ্ধার করা হয়। এরপর উদ্ধারকৃত গন্ধগোকুলটি আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের অধীনে চিকিৎসা চিকিৎসা দেওয়ার পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার শ্রীরামপুর গ্রামের একটি বনে তা অবমুক্ত করা হয়।
জানা গেছে, গন্ধগোকুল, তালখাটাশ, ভোন্দর, লেনজা, সাইরেল বা গাছখাটাশ নামে পরিচিত। তালের রস বা তাড়ি পান করে বলে তাড়ি বা টডি বিড়াল নামেও এটি পরিচিত। গন্ধগোকুল বর্তমানে অরক্ষিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গন্ধগোকুল নামে বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীটি শনিবার বিকেলে উপজেলার ফলিয়া এলাকার একটি মুরগির খামার থেকে মুরগি শিকার করে পাশের জংগলে খাচ্ছিল। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে প্রাণীটির ওপর হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের হাতে অসুস্থ অবস্থায় ধরা পড়ে গন্ধগোকুলটি। পরে তাঁরা একটি খাঁচায় প্রাণীটিকে বন্দী করে রাখেন। খবর পেয়ে বন বিভাগের সদস্যরা প্রাণীটি উদ্ধার করেন। এরপর গন্ধগোকুলটি আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের অধীনে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার শ্রীরামপুর গ্রামের একটি বনে তা অবমুক্ত করা হয়।
উপজেলা বন কর্মকর্তা শেখ লিটন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বিবেচনায় পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় উঠে এসেছে এই প্রাণীটি। আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুলের বাস। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতি সংরক্ষিত। তাই এটি ধরা বা শিকার করা সম্পূর্ণ বেআইনি। খবর পেয়ে প্রাণীটি উদ্ধারের পর চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে একটি বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বায়ান্ন/এসএ