বাংংলাদেশ পুলিশ সৈয়দপুরের আয়োজনে গতকাল ২৫শে সেপ্টেম্বর স্থানীয় রেল মাঠে আয়োজিত হয় ওপেন হাউস ডে। সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব সাইফুল ইসলাম। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিরুল ইসলাম, সৈয়দপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল হক সহ সমাজের অনেক গণ্য মান্য ব্যাক্তি এবং সৈয়দপুরের আপামর জনসাধারন।
সভায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে পুলিশের ভূমিকা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, জন প্রতিনিধিদের সহযোগীতা, সমাজের সকল নাগরিকের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা শীর্ষক আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে একাধিক জনপ্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ বক্তব্য দেন। বক্তাগণ সৈয়দপুরের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে পুলিশের প্রশংসা করে বলেন পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকায় সমাজে অনেক অপরাধ দমন করা সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষ সকল বক্তাগণ মাদকের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে বলেন মাদক ব্যবসায়ী এবং তাদের গডফাদারদের সমূলে উৎপাটন করে আইনের আওতায় আনা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেন তার ইউনয়নের মাদক সম্রাট মোন্নাফ পরিবারের কথা। তিনি বলেন মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা চাঁদাবাজী ও হয়রানীর শিকার হয়েছেন।
সৈয়দপুরের সরকার দলীয় একাধিক নেতা তাদের বক্তব্যে কোন প্রকার রাখ ঢাকা না রেখেই শহরের মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদারদের চিহ্নিত করে তাদের নাম উল্ল্যেখ করেন। তাদের মধ্যে মাদকের ডিলার মাদক সম্রাট হিসাবে প্রথমে নাম আসে কথিত যুবলীগ নেতা কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর সন্তান ভাইজান বাহিনীর রাইট হ্যান্ড দিল নেওয়াজ খানের নাম। এছাড়াও ভাইজান বাহিনীতে যোগ দিয়ে কথিত ভাইজানের আশির্বাদে অনেক মাদক ব্যবসায়ী স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে স্থান করে নিয়ে তাদের মাদক ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে। র্যাব কর্তৃক মাদক ব্যবসায়ী মাদকসহ হাতে নাতে গ্রেফতার হলে দেখা যায় তারা সকলেই সেই ভাইজান বাহিনীর ক্যাডার এবং তার মদদপুষ্ট।
ইতিপূর্বে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ করায় মাদক সম্রাট দিল নেওয়াজ খানের হাতে লাঞ্ছিত হন। এই বিষয়ে একাধিক আওয়ামী নেতার সাথে কথা বললে তারা মতামত দেন শান্তির শহর এই সৈয়দপুরে মাদক এবং আইন শৃঙ্খলার সকল প্রকার অবনতির মূল চালিক শক্তি ছিলো দুইজন তাদের একজনের মৃত্যু হওয়ায় শহরের গডফাদার বনে যান সৈয়দপুরের কুখ্যাত ভূমিদস্যু উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিন, মূলত তারই ইশারায় সমাজের সকল অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। সৈয়দপুরে শান্তি বজায় রাখার জন্য পুলিশের ভূমিকায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ হলে পুলিশ ৭২ ঘন্টার মধ্যে শহরের সকল অবৈধ কর্মকান্ডসহ মাদকের ব্যাবসা নির্মূল করতে সক্ষম হবেন বলে তারা মতামত দেন।