সিলেটবাসীর নিখাদ ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। মেয়র পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তাঁকে বিজয়ী করেছেন নগরবাসী। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন। বিজয়ী হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ ভোটে। নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫১ হাজার ভোট। রাত পোনে ৮ টায় বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৯০ টি ওয়ার্ডে সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ইভিএম-এ। সবকটি কেন্দ্র ছিল সিসি ক্যামেরার আওয়তায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
দলের হাই কমান্ডের সবুজ সংকেত পেয়ে চার মাস পূর্বে সিলেট নগরীর ভোটের মাঠে নামেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। শুরু থেকেই সিলেট নগরবাসীর নজর কাড়তে সক্ষম হন। বিশ^াসযোগ্য প্রতিশ্রæতি দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন বাধাহীনভাবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলবাজদের স্থান সিলেট নগরীতে হবে না বলে ঘোষণা দেন। সিলেট নগরকে শান্তির নগরী হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নের কথা জানান। ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। নগরবাসী আনোয়ারুজ্জামানের চোখে মুখের ভাষা বুঝতে পারেন। ঝুঁকে পড়েন তার প্রতি। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিকে আনোয়ারুজ্জামানের সভায় লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠতো। নির্বাচনী মাঠে অনেকটা একক আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হন তিনি। ভোটের দিনের মমতাময়ী মায়ের পা ছুঁযে ঘর থেকে বের হন। বিজয়ের মালা গলায় নিয়ে ঘরে ফেরেন।
মায়ের দোয়া নিয়ে সকাল আটটার দিকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ঘর থেকে বের হন। নগরীর ৮ নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলা শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে তিনি সপরিবারে গিয়ে ভোট দেন। পরে দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিভিন্ন ভোটেেকন্দ্র পরিদর্শনে বের হন। প্রতিটি কেন্দ্রে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ করা হয় সেই পরিবেশ বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান আনোয়ারুজ্জামান।
মহানগরের পশ্চিম সুবিদবাজারস্থ আনন্দ নিকেতন স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি এ কেন্দ্রে ভোট দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভোট দিতে নগরীর বন্দরবাজারস্থ দুর্গাকুমার পাঠশালা কেন্দ্রে আসেন ৯টা ৫০ মিনিটে। এরপর ভোট দেন ১০টায়।