চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন শিশুটি। রেললাইনের পাশ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে ভর্তি করে দেন হাসপাতালে। সেই থেকে অজ্ঞাতনামা হিসেবেই টানা টানা ১১ মাস ধরেই চিকিৎসাধীন। শেষতক মিললো নাম-পরিচয়, ফিরলো মাতৃকোলে। শরীফ মিয়া নামের ওই শিশুটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ধনরাজপুর গ্রামের রশিদ মিয়া ও চানবানুর সন্তান।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে আড়াইশ' শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ওয়াহিদুজ্জামান শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেন। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার ও শিশুটিকে দেখভালকারী হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী উজ্জল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি জেলার আশুগঞ্জে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয় শিশুটি। পরে রেললাইনের পাশ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর টানা ২৫ দিন কোমায় ছিলো শিশুটি। তারপর সে ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করে। তবে, গত প্রায় এক বছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। অজ্ঞাতনামা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে নিজ দায়িত্বে শিশুটির সার্বিক দেখাশোনা ও পরিচর্যা করেন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী উজ্জল মিয়া। অবশেষে ১১ মাসের মাথায় নাম-পরিচয় জানার পাশাপাশি মাতৃকোলে ফিরলো শিশু শরীফ মিয়া।
আড়াইশ' শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহিদুজ্জামান বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'পরিবার শিশুটিকে নিতে আসায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে শিশুটিকে তাদের কাছে দেয়া হয়েছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা না করাতে পারা ও মায়ের মানসিক অসুস্থতার কারণে এতোদিন পরিবার খোঁজ নেয়নি।'